সুনীত হালদার, হাওড়া: 'যা দিচ্ছি, তাই নিয়ে কারখানা ছেড়ে দে', খোদ মন্ত্রীর অফিসে ডেকে পাঠিয়ে ব্যবসায়ীকে হুমকি, তাও আবার পুলিশের সামনে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল হাওড়ার কদমতলায়। 


ঠিক কী অভিযোগ?



শিবপুরের কামারডাঙায় পারিবারিক জমিতে অভিযোগকারী মানস রায়ের একটি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত শরিকি বিবাদের জেরে গত ৩ মে, ওই ব্যবসায়ীকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির অফিসে ডেকে একজনকে মন্ত্রী সাজিয়ে কম দামে কারখানার স্বত্ব ছেড়ে দিতে বলে হুমকি দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায়, মঙ্গলবার দাশনগর থানায় ডেকে বসিয়ে রাখা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। সেই ফাঁকে বিধায়ক অনুগামীরা গিয়ে কারখানা সিল করে দেয় বলে ব্যবসায়ীর অভিযোগ। 


 মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করে অভিযোগ জানানোর পর, গতকাল পুলিশ দিয়ে সিল খুলে দেয়। প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে এবিপি আনন্দর ক্যামেরা দেখে দৌড় লাগান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের সাফাই,দল এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী মৌমিতা রায় জানান তারা আতঙ্কে রয়েছেন। শরিকি ঝামেলা আলোচনার মাধ্যমে অথবা আইনি পথে সমাধান হবে। কিন্তু রাজনৈতিক দল কেন আসবে এই প্রশ্ন তোলেন। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে ওই কারখানার ১২ জন শ্রমিক খাবে কী? তিনি বলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানান কোনরকম অপরাধমূলক কাজ দল বরদাস্ত করে না। কেউ জড়িত থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে দলে তাকে কেউ কিছু জানায়নি।