সুনীত হালদার, হাওড়া: বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নিখোঁজ সদ্যোজাতর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার (Howrah) টিকিয়াপাড়ায় (Tikiapara) উত্তেজনা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বাড়িতে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সদ্যোজাতর (New Born)। জলের ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার হয়। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় জলের ট্যাঙ্কে ফেলে শিশুকে খুনের অভিযোগে তার জেঠিমাকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে স্পষ্ট  হয়, শিশুকে আবাসনের বাইরে আনা হয়নি। এরপর বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় জেঠিমাকে।  


কী ঘটেছিল? 


মাত্র চারদিন আগে পৃথিবার আলো দেখেছিল। শনিবার সেই একরত্তির নিথর দেহ উদ্ধার হল আবাসনের জলের ট্যাঙ্ক থেকে। অভিযোগ, ঘুমন্ত মায়ের কোলের কাছ থেকে সদ্যোজাতকে নিয়ে গিয়ে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে খুন করা হয়েছে। পুত্রসন্তান হওয়ায় পারিবারিক ঈর্ষার কারণেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন, হাত ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় গুলি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমাডান্টের ক্ষতিগ্রস্ত মাংসপেশিতে চলছে চিকিৎসা


কী অভিযোগ? 


নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। ত্রিনাথ পোড়েল লেনের বাসিন্দা, গৃহবধূ শামা পারভিন গত সোমবার হাওড়া জেলা হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বুধবার সদ্যোজাতকে নিয়ে মা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে মা নিজের ফ্ল্যাটে কোলের কাছে সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি ঘুম ভেঙে দেখেন, কোলের পাশে সন্তান নেই। 


এরপর চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও শিশুর সন্ধান মেলেনি। হাওড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। পুলিশ আবাসনের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে। কিন্তু সূত্রের খবর, তাতে কোনও হদিশ মেলেনি। শনিবার সকালে ফ্ল্যাটের আবাসিকরা দেখেন, ট্যাঙ্ক থেকে লাল রঙের জল আসছে। সেইসঙ্গে দুর্গন্ধ। তারপর জলের ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে দেখা যায়, জলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সদ্যোজাত। 


এক প্রতিবেশীর দাবি, "খুন ঘরের লোক করেছে। পারিবারিক হিংসা। জেঠির মেয়ে রয়েছে, আর শামার ছেলে হয়েছে। তাই হিংসে করেই মেরেছে।" ওই ফ্ল্যাটে শামা পারভিনের ভাসুরের পরিবারও থাকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, পারিবারিক বিবাদ ও হিংসের কারণে শিশুকে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। মৃত শিশুর জেঠিমা ও এক প্রতিবেশীকে আটক করেছে হাওড়া থানা।