সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া : আলোর উৎসবে প্রাণঘাতী বাজি। আনন্দের প্রহরে নেমে এল বিষাদের কালো ছায়া। উলুবেড়িয়ায় বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ৩ জনের মৃত্যু। বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুন, তা থেকে ঝলসে ২ নাবালক-নাবালিকা ও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ঘরের মধ্যে বাজি ফাটাতে গিয়ে এই পরিণতি ঘটে। ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


কী ঘটনা ?


আজ সন্ধে ৭টা নাগাদ উলুবেড়িয়া বাজারপাড়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। সন্ধে ৭টা নাগাদ ওই বাড়ির বাচ্চারা ফুলঝুরি জ্বালিয়ে আনন্দ করছিল। সেই সময় হঠাৎ ঘরের মধ্যে আগুন লেগে যায়। গোটা ঘরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুত ছিল। এই কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় এক নাবালক, এক নাবালিকা ও এক মহিলা নিয়ে মোট তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়। সেখান থেকে তাদের উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। খবর পেয়ে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিনও। দমকলকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু, কী কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি থেকেই এই আগুন লাগে।


এদিকে খাস কলকাতায় ছড়াল তীব্র আতঙ্ক। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ! গুরুতর জখম হল এক কিশোর। বিকেলে, পাশের ব্লকে উদ্ধার হল তাজা বোমা। শুক্রবার ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ১১টা। তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে পাটুলি এলাকা। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে এসে মাঠে রক্তাক্ত কিশোরকে দেখতে পান। জখম কিশোরের বন্ধুর দাবি, খেলতে খেলতে বল হারিয়ে গিয়েছিল জঙ্গলের মধ্যে। খুঁজতে গিয়ে সাদা কাগজে মোড়া বলের মতো একটি জিনিস কুড়িয়ে পায় সে। নাড়াচাড়া করতে করতেই ফেটে যায় সেটি। জখম কিশোরের বন্ধু বলে, "যার সঙ্গে খেলছিলাম, সে একটা সাদা রঙের কাগজে মোড়া বলের মতো কিছু একটা পেল। আমার যেহেতু বল, আমি ওইখানে খুঁজছিলাম। বলের মতো কিছু একটা পেয়ে এখানে এল। তারপর হুট করে এটা ফেটে উঠল। তারপর আমি, ভয় পেয়ে আমরা পালাচ্ছিলাম।''


ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পাটুলি থানার পুলিশ। ঘিরে দেওয়া হয় ঘটনাস্থল। আনা হয় পুলিশ কুকুর। কিন্তু থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।