কলকাতা : 'বিজেপির ( BJP ) এটা প্ল্য়ান ছিল। বিজেপির...হিনদু সংহতি কীসব আছে মাথামুণ্ডু এদের সবার একটা প্ল্য়ান ছিল, যে, যেমন করে হোক দাঙ্গা লাগানোর। কালকে দেশের প্রায় ১০০টা জায়গায় বিজেপি এইভাবে দাঙ্গা করেছে।' রামনবমীর দিন হাওড়া হিংসাকাণ্ডে সরাসরি বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ' আমি বারবার বলে দিয়েছিলাম, ওই রুটে যেন মিছিল না ঢোকে। তা সত্ত্বেও ক্রিমিনালস্ রা, এটা কোনও ধর্মের মিছিল ছিল না। ক্রিমিনালস্ রা বনদুক, পেট্রোল বম্ব ছোড়া এবং আরও বুলডোজার সহ নানারকম জিনিস নিয়ে ঢুকেছিল ইচ্ছাকরে অন্য় একটা কমিউনিটি, যেখানে মাইনরিটিরা থাকে, এবং সে গিয়ে হামলা করেছে, দোকান ভেঙেছে, রমজান মাসের সময় যারা উপবাস করে থাকে, তাদের ওখানে শান্তির পরিবর্তে গিয়ে অশান্তি করেছে। '

'পুলিশ কিছুই দেখতে পায়নি? '


রাম নবমীর মিছিলে কি বন্দুক ছিল? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রামনবমীর মিছিলে বন্দুক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে পাল্টা রাজ্যের দিকেই দোষ ঠেললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ' 
কেউ বলছে বুলডোজার নিয়ে মিছিল হয়েছে। কেউ বলছে বন্দুক নিয়ে মিছিল হয়েছে। কে কী দেখতে পেয়েছে জানিনা। পুলিশ কিছুই দেখতে পায়নি? সাধারণ মানুষ কিছু দেখতে পেল না? ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে গন্ডগোল পাকানো হয়েছে। এখন পিঠ বাঁচাতে এইসব বলছেন। এই ঘটনা বাংলায় প্রথম না। সিএএ নিয়ে কী হয়েছিল? তিন দিন ধরে আগুন জ্বলেছে। নুপূর শর্মার মন্তব্যের পর গোটা দেশ ঠান্ডা হয়ে গেলেও এ রাজ্যে অশান্তি জারি ছিল। এই ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা প্রেস মিট করতে দেখিনি। সাফাই দিতে দেখিনি। তারাই করিয়েছেন, পরিষ্কার। আজ সারা বাংলায় ছি ছি হচ্ছে। গোটা দেশে ছি ছি হচ্ছে। ধার্মিক মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে ইট মারা হচ্ছে। পুলিশ দর্শকের ভূমিকায়। এটা ওদের সরকারি পলিসি। এতে রাজনৈতিক লাভ হয়।' 


তাহলে কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে আছে বিজেপি? দিলীপ বলেন, ' আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন। এতে সংখ্যালঘু বলে আলাদা কিছু নেই। মোদির প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের লাভ সংখ্যালঘু গরিব মানুষ বেশি করে পেয়েছেন। বরং কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে এ রাজ্যে মমতা সরকার সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করে রেখেছেন। তারা কাকে ভোট দেবে সেটা তাদের অধিকার। তার জন্য দাঙ্গা করে ভোট নেওয়ার দরকার নেই। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন।' 

তাঁর অভিযোগ, অবাঙালি ও বাঙালি হিন্দুর বিভাজন রেখা টানার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ' এটা প্রথম থেকেই চলছে। ওদের বহিরাগত বলে প্রমাণের চেষ্টা করছে। গোর্খা, মতুযা, আদিবাসী, রাজবংশিদের আলাদা করার চেষ্টা হয়েছে। সমাজের এনাদের প্রতি কোনো বিশ্বাস নেই। হিংসার রাজনীতি করে যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। গোটা সমাজ এদের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। '