কলকাতা :  হাওড়ার ( Howrah )  শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার তরুণের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এবার আসরে নামল তৃণমূল ( TMC ) । একাধিক ছবি পোস্ট করে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ধৃত সুমিত সাউ বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।


বিহারের মুঙ্গের থেকে যুবক গ্রেফতার হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করেও সুর চড়িয়েছেন কুণাল ঘোষ ( Kunal Ghosh ) । সুকান্ত মজুমদার ( Sikanta Majumdar ) তো মনে করছেন, দেখতে হবে ওটা খেলনা বন্দুক কিনা। 


 তরুণের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এবার আসরে নামল তৃণমূল


একছবিতে অস্ত্র হাতে, অন্যছবিতে, হাতে বিজেপির পতাকা। আর, আরও একাধিক ছবিতে, বিভিন্ন বিজেপির উত্তরীয় পরা নেতাদের সঙ্গে। হাওড়ার শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার তরুণের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এবার আসরে নামল তৃণমূল। একাধিক ছবি পোস্ট করে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 
ধৃত সুমিত সাউ বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই ছবিগুলিই সেই কথা বলছে। বিকেলে একাধিক ছবি দেখিয়ে এই ইস্য়ুতে বিজেপিকে নিশানা করেন কুণাল ঘোষ।

কুণালের আক্রমণ, সুকান্তর পাল্টা 


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এদিন বলেন, ' কারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে, শুভেন্দু বাহিনী চাইছে? ওই শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপ এরা? আরে ওরা তো এই জন্যও ওই লোকগুলোকে আনছে। ওরা তো বিজেপির লোক। কেন্দ্রীয় টিম আনার জন্যই তো এই বাহিনী পাঠাচ্ছে বনদুক দিয়ে, বলছে গুলি চালাও। যাও গন্ডগোল কর। যাও হাঙ্গামা করো। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ' 


যদিও 'সব ফালতু' বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার ।






প্রেক্ষাপট  

বৃহস্পতিবার রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল শিবপুর। তার আঁচ এসে পড়েছিল শুক্রবারও। এরই মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপির তরফে একের পর এক ভিডিও সামনে আনা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এই তরুণের ছবি ট্যুইট করার পাশাপাশি পাল্টা, সাংবাদিক বৈঠক করে আরেকটি ভিডিও দেখান শুভেন্দু অধিকারী। চড়তে থাকা রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্য়েই, এবিপি আনন্দকে দেওয়া EXCLUSIVE সাক্ষাৎকারে, এই ঘটনার জন্য় বিজেপিকে দায়ী করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।


পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী আবার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার পুলিশমন্ত্রীর পদত্য়াগ দাবি করেন। অবশেষে অভিযুক্তকে বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তারপরও বাগযুদ্ধ অব্য়াহত।