পার্থপ্রতিম ঘোষ, সুনীত হালদার ও প্রবীর চক্রবর্তী, হাওড়া: বেহালার (Behala) যুবকের রহস্যমৃত্যু। বাগনানে (Bagnan) রূপনারায়ণের (Rupnarayan) চরে উদ্ধার হল মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন যুবক। খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
রোজকার মতো, অফিসে পৌঁছেছেন বলে মাকে ফোনে জানিয়েছিলেন। মায়ের দাবি, তারপর থেকেই সুইচড অফ হয়ে যায় ছেলের মোবাইল ফোন! ২ দিনের মাথায় বাগনানে (Bagnan) রূপনারায়ণের চর থেকে উদ্ধার হল বেহালার যুবকের মৃতদেহ!
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে অকূলপাথারে মা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুভদীপ রায় (২৯) নামে ওই যুবক ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থার ক্যাশ অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত ১১ নভেম্বর, শুক্রবার। পরিবার সূত্রে খবর, ওইদিন রোজকার মতো সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ অফিস যাওয়ার কথা বলে বেহালার (Behala) সত্যেন রায় রোডের ফ্ল্যাট থেকে বের হন যুবক। সকাল ৭.১৫ নাগাদ মাকে ফোন করে অফিসে পৌঁছেছেন বলে জানান শুভদীপ। এরপর থেকে আর মোবাইল ফোনে যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে দাবি পরিবারের।
রাতে বাড়ি না ফেরায় শনিবার সকালে বেহালা থানায় (Behala Police Station) নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভদীপের মা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রবীন্দ্র সদন (Rabindra Sadan) এলাকায় নিজের অফিসে যাননি যুবক। মায়ের অসুস্থতার কথা বলে, অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। মাকে ফোন করার সময় যুবকের মোবাইল ফোনের লোকেশন হাওড়ার রামরাজাতলা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
রবিবার সকালে, বাগনানের (Bagnan) মানকুর ঘাটের কাছে রূপনারায়ণের চর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের মৃতদেহ। যুবককে কেউ বা কারা খুন করে রূপনারায়ণের চরে ফেলে গেছে বলে সন্দেহ করছে পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। অফিসে না গিয়েও মাকে ফোন করে কেন অফিসে পৌঁছনোর কথা বলেছিলেন শুভদীপ? তিনি কেন হাওড়ার রামরাজাতলায় গিয়েছিলেন? যুবক-মৃত্যুতে এই প্রশ্নগুলোই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। খুন, নাকি আত্মহত্যা, কীভাবে মৃত্যু হল যুবকের? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বেহালা থানা।