সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (Uccha Madhyamik) ফল। মেধা তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন ৫৮ জন। সেই তালিকায় নিজের নাম দেখে বিশ্বাস করতে পারেননি কালিয়াগঞ্জের প্রীতম্বর বর্মন।  


অভাব অনটন যে মেধাবি শিক্ষার্থীদের আটকে রাখতে পারে না, তার জ্বলন্ত উদাহরণ কালিয়াগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম ভেউরের বাসিন্দা প্রীতম্বর বর্মন। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করে কালিয়াগঞ্জের নাম রাজ্যের প্রথম তালিকায় নিয়ে এল। প্রীতম্বরের মোট প্রাপ্ত নম্বর- ৪৮৮, শতাংশের নিরিখে- ৯৭.৬ শতাংশ। 


কালিয়াগঞ্জ তরঙ্গপুর নন্দকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র প্রীতম্বর বর্মন কলা বিভাগের ছাত্র। বাবা উত্তম বর্মন পেশায় ভিন দেশের শ্রমিক, প্রীতম্বরের মা দিনমজুরের কাজ করেন। দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র প্রীতম্বর। ফলে মাত্র ৪ জন গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়েই এই ফল করেছে সে। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেউর গ্রামে বাড়ি প্রীতম্বর বর্মনের। তার এই সাফল্যের পেছনে নিজের পঞ্চাশ শতাংশ অদম্য ইচ্ছেকেই দাবিদার করেছে। বাকিটা তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়েছে। প্রীতম্বরের ইচ্ছা বড় হয়ে সে আইএএস হতে চায় সে।                                                               


আরও পড়ুন, প্রতিদিন ফোন না ব্যবহারেই সাফল্য? উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সৌম্যদীপ জানালেন নরেন্দ্রপুর মিশনের সেই টিপস


প্রীতম্বর বর্মন বলেন, 'এই সাফল্য পেয়ে খুব খুশি। আমার পরিশ্রম সার্থক হল। সারা বছর তেমনভাবে পড়াশোনা করিনি। তবে পরীক্ষার আগে গোল্ডেন সময় যেটা বলে সেই সময় মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সেই সময় ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা পড়তাম।'


তরঙ্গপুর এন কে হাইস্কুলের এই ছাত্র বলেন, 'আমার বাবা রাজমিস্ত্রি। কর্মসূত্রে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বাইরে থাকেন। মা অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করেন। মা-বাবা যেভাবে পরিশ্রম করেছেন সেটা সার্থক হল আজ। স্কুলের শিক্ষকরাও খুব সাহায্য করেছেন।'                                          


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে