আবির দত্ত, কলকাতা : বীরভূমে ( Birbhum )  বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় হাওড়া স্টেশন থেকে একজনকে গ্রেফতার করল এনআইএ ( NIA ) ।  ২০২২ সালের জুন মাসে বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে প্রায় ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।


সে বছর সেপ্টেম্বরে ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ ( NIA)। সেই মামলাতেই বীরভূমের বাসিন্দা মুনতাজ আলি ওরফে রিন্টু শেখকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ধৃত মুনতাজ ডিটোনেটর সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করছিল বলে খবর সূত্রের। 


২০২২ এর ৩০ জুন। বীরভূমের মহম্মদবাজারে পিক আপ ভ্যান থেকে উদ্ধার হয় ৮১ হাজার ডিটোনেটর। বীরভূম জেলা পুলিশের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে রানিগঞ্জের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে STF। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই তদন্তে নেমে জাল নোটেরও হদিশ পেয়েছিল STF।

কোথায় ওই বিস্ফোরক পাচারের ছক ছিল? কী পরিকল্পনা ছিল? তা জানার জন্য  বিস্ফোরক মামলার তদন্তভার নেয় NIA। আর এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।  বিজেপি বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, সভাপতি বলেন, ' বীরভূম জেলায় বার বার বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু ধরছে না। এসটিফ আচমকা যেভাবে তদন্ত শুরু করে, তাতে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এনআইএ তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। ' 


বীরভূম  তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ' এখান বৈধ, অবৈধ পাথর খাদান রয়েছে। খাদান গুলিতে মূলত বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। এসটিএফ কয়েকজনকে ধরেছে। তারা জেলে ছিল, জামিন পেয়েছে। এখন এনআইএ তদন্ত করলে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। ' 


এই ঘটনার আগে টিটাগড়ের স্কুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। এবার বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত নিয়ে তরজায় সরগরম হয়ে ওঠে বীরভূমের রাজনীতি।


আরও পড়ুন :


'আমি এদের কিছুটা জমি দিয়ে আন্দামান পাঠিয়ে দেব' কাকে হুঁশিয়ারি বিচারপতির


এই বছরের শুরুতে, হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় ধৃত সন্দেহভাজন ২ আইএস জঙ্গিদের জেরা করে এনআইএ।
পরবর্তীকালে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে এনআইএ। এদিকে, এসটিএফ সূত্রে দাবি, সিরিয়ায় রয়েছে এরকম ৬ জেহাদি সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সাদ্দাম ও সইদের।