সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ায় যেন হদিশ মিলল 'কুবেরে'র সম্পদের। হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হল টাকার পাহাড়। সূত্রের খবর, উদ্ধার হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা নগদ। উদ্ধার হয়েছে ১৩ কেজি রুপোও। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ধানবাদ থেকে আসা বৃন্দাবন দে। গতকাল কোলফিল্ড এক্সপ্রেসে ধানবাদ থেকে হাওড়ায় আসেন বৃন্দাবন। বিপুল পরিমাণ টাকা ও রুপোর উৎস কী, জানতে জেরা করছে কাস্টমসের আধিকারিকরা।


গতকাল, হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্স থেকে ওই ব্যক্তিতে আটকানো হয়। তার থেকে ওই টাকা ও রূপোর বাঁট উদ্ধার করা হয়েছে। ডাউন কোলফিল্ড এক্সপ্রেস এসে স্টেশনে থামার পরে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা দেখতে পান যে ৮-৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করছেন ওই ব্যক্তি। তার হাতে ব্যাগ ছিল, পিঠেও ব্যাগ ছিল। ওই ব্যক্তিকে আটকে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও কেন এত টাকা সঙ্গে রয়েছে, তার কোনও উত্তর দিতে পারেনি ওই ব্যক্তি। রূপোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজও সঙ্গে ছিল না হলে দাবি। এরপরেই আরপিএফ কাস্টমসকে খবর দেয়। কাস্টমস এসে টাকা ও রূপোর তদন্ত শুরু করেছে। এর আগেও হাওড়া স্টেশন থেকে নগদ এবং সোনা-রূপা উদ্ধার হয়েছিল।


এর আগে হত বছরের নভেম্বরে, হাওড়া স্টেশন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সেবারও ওল্ড কমপ্লেক্স থেকেই ধরা পড়েছিল উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তি। তার কদিন আগে হাওড়া স্টেশন থেকে ১১ লক্ষ টাকা ও ৩ লক্ষ টাকার সোনার সামগ্রী সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল রেল পুলিশ। সেবারই প্রথম নয়। গত বছরের জুলাই মাসে আড়াই কোটি টাকার বেশি অর্থমূল্যের সোনা মেলায় এক যাত্রীকে আটক করেছিল রেলপুলিশ। ললিত কুমার নামে ওই ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল আরপিএফ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ডাউন শ্রী সত্য প্রশান্তি নিলায়ম হাওড়া এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে পৌঁছেছিল। তখনই ট্রলি ব্যাগে নিয়ে এক যাত্রী সন্দেহজনক ভাবে প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করলে তাঁকে হাতেনাতে ধরেছিলেন আরপিএফ জওয়ানরা। ধৃতের ব্যাগ তল্লাশি করলে ৫ কিলো ১৩৫ গ্রাম সোনা মিলেছিল। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য ২ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও তাঁর কাছ থেকে নগদ ৪৭,০০০ টাকা উদ্ধার মিলেছিল। 


আরও পড়ুন: রানিনগরে ভোটভুটি! প্রার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে মমতাকে চিঠি অধীরের