মুর্শিদাবাদ: আগামীকাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির ভোট। প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury)। শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রানিনগর, থানায় ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর ও তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা হয়। ওই ঘটনায় বাম-কংগ্রেসের ৩৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।   


পঞ্চায়েত ভোটে সবচেয়ে বেশি হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল মুর্শিদাবাদেই। ভোটের পরেও হিংসা পিছু ছাড়ছে না এই জেলার। ৮ সেপ্টেম্বর রানিনগরে একটি বিজয় সমাবেশ করেছিল বাম ও কংগ্রেস। বোধনপাড়ার মাঠে কংগ্রেসের ডাকে বিজয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকও। অভিযোগ, সেই জমায়েতে যোগ দিতে আসা বাম-কংগ্রেস কর্মীদের বাধা দিয়েছিল তৃণমূল। সেই ঘটনা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। তাণ্ডব চালানো হয়েছিল রানিনগর বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিসে। চেয়ার-আসবাব ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।  ভাঙা হয়েছিল AC মেশিনও। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল পার্টি অফিসের সামনে। রানিনগর থানা লক্ষ্য় করেও ছোড়া হয়েছিল থান ইট, আধলা। তারপরপরই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছিল ধরপাকড়। ওই ঘটনায় পুলিশের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছিল কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, বাধা দিয়েছে পুলিশও। কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করার অভিযোগও করা হয়েছিল। যদিও পুলিশের দাবি, কংগ্রেসের সভা থেকেই হামলার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। মোট ৩৬ জন কংগ্রেস নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। 


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, 'আমাদের মিছিল শুধু পুলিশ বাধা দিয়েছে তা নয়, নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে, কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীকে পুলিশ মারধর করে। সেখানকার কংগ্রেস কর্মীরা যোগ দিতে পারে নি। বেরিয়ে আসার পর শুনছি, যারা সভা থেকে ফিরছিল, থানার সামনে জড়ো হয়। শোনে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলা। এটা কখনও কাম্য় নয়। বলছি না, হামলা করে ঠিক করেছে। কিন্তু কেন হামলা, সেটা পুলিশের (Police) দেখা দরকার। কেন মারতে গেল, সেটা পুলিশের ভেবে দেখা দরকার। পুলিশের অদক্ষতা এর জন্য় দায়ী। পুলিশের দুর্বিনীত ব্য়বহারে সেখানকার মানুষ অতিষ্ঠ।'    


তারপর এবার সেখানে বোর্ড গঠনের সময় প্রার্থীদের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, এবার দমদমে মৃত্যু পুলিশকর্মীর