পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে ও ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : এগরা ( Egra ) থেকে বজবজ ( Budge budge ) । মাত্র ছদিনের মধ্য়ে, রাজ্য়ে বিস্ফোরণে প্রাণ গেল চোদ্দজনের। তার মধ্য়েই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বীরভূমের ( Birbhum )  দুবরাজপুর। এগরায় ফের উদ্ধার হল বিস্ফোরক। একের পর এক এসব ঘটনা নিয়ে, চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি বারুদের স্তূপে বাংলা? পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ 
কিংবা বীরভূমের দুবরাজপুর পরপর বিস্ফোরণ, মৃত্য়ু, বিস্ফোরক উদ্ধারে, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্ন। কেলবমাত্র গত ৬ দিনের মধ্য়েই ৩টি জেলায় ঘটেছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ! যাতে মৃত্য়ু হয়েছে শিশু, মহিলা-সহ ১৪ জনের।


কোথাও উদ্ধার হয়েছে উদ্ধার হয়েছে বস্তা বস্তা বিস্ফোরক! কোথাও বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪০ হাজার কেজি বেআইনি বাজি!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ( Adhir Chowdhury  ) বলেন, ' বাজি কারখানা তৈরির নামে এই বাংলায় বোমের কারখানা তৈরি হচ্ছে। বাজি কারখানার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের যে বোমা মজুতের ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে, সেই ভাণ্ডার আগামী দিনে এই বাংলার নিরাপত্তাকে ভয়ঙ্করভাবে বিঘ্নিত করবে।' 


গত মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছারখার হয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বেআইনি বাজি কারখানা। এখনও অবধি সেই ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছে ১১ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে, বাজির আগুন থেকে বিস্ফোরণে ঝলসে মৃত্য়ু হয় মহিলা, শিশু-সহ একই পরিবারের তিনজনের। সোমবারই আবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বীরভূমের দুবরাজপুর। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণ ঘটেছে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে। অন্য়দিকে, এদিনই আবার এগরা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক।


আরও পড়ুন :


আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, এ রাজ্য়ে ইউক্রেনের থেকেও বেশি বিস্ফোরণ হচ্ছে! সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পুলিশ সব জানে। পুলিশ টাকা নেয়। সেই টাকার ভাগ কালীঘাটে পৌঁছে দেয়। এবং সেই কারণেই বেআইনি কাজে প্রশ্রয় দেয়।' 


তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বাজি কারখানা থেকে কি বিরিয়ানিরমশলা উদ্ধার হবে ? দেখতে হবে কোথাও বেআইনি মজুত হয়েছে কি না, শিবকাশীতেও তো সেদিন হয়েছে। বেআইনি, তবু কীভাবে দিনের পর দিন মজুত হচ্ছে বিস্ফোরক? কী করছে পুলিশ প্রশাসন? বারবার কেন ঘটনা ঘটার পরই ঘুম ভাঙছে? সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারও কাছে।