বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের পর আইসি বদল। আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে বদলি করা হল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলায়। মৌসমের জায়গায় আইসি এগরা হলেন স্বপন গোস্বামী। এর আগে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ছিলেন স্বপন গোস্বামী।
এগরার ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিশ যে মামলা করেছে, তাতে বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারাই ছিল না। যা দেখে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, NIA এড়াতেই কি এই কৌশল? কারণ, বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে, কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি সেই তদন্তভার NIA-কে দিতে পারে। এক্ষেত্রে যাতে তা না হয়, সেজন্য়ই কি বিস্ফোরক আইনে মামলা করেনি পুলিশ? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এ ছাড়াও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এগরার বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য় করেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও। পুলিশ বেইমানি করেছে, নাহলে এরকম হয়! গোটা ঘটনাকে অন্তর্ঘাত বলেও দাবি করেছেন তিনি! বিরোধীদের সুরে কথা বলছেন মদন। তদন্ত হওয়া উচিত, মন্তব্য় সুজন চক্রবর্তীর। পুলিশ মন্ত্রীর কাছে উত্তর চান মদন, কটাক্ষ শমীকের।
মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, যিনি বাজির কারখানা চালাচ্ছিলেন, তাঁকে গত বছরের অক্টোবর মাসেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ সুপারও বলছেন, ওখানে দু-তিন সপ্তাহ আগে রেড করা হয়েছে। তারপরও প্রকাশ্যে এই অবৈধ কারবার কীভাবে চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, পুলিশ নাকি সবই জানত। আইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
রাস্তায় পড়ে পোড়া মৃতদেহ, জলে ভাসছে দগ্ধ মৃতদেহ। গাছে, ঝোপে ঝাড়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে আছে পোড়া দেহাংশ! চতুর্দিকে আধপোড়া মানুষের গোঁঙানির শব্দ! স্থানীয়রাই বলছেন, এ যেন শ্মশানভূমি! কার্যত মৃত্যুপুরী এগরার খাদিকুল গ্রাম। আর এসবের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা।
স্থানীয় নেগুয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ১০ কিমি। আর এগরা থানা থেকে দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সব জানত পুলিশ। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পুলিশ। সব জেনেও চুপ ছিল পুলিশ? নেপথ্য়ে টাকার খেলা? এদিন, ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। মারধর করা হয় পুলিশকে। এতগুলো প্রাণ চলে গেল। তার দায় কে নেবে?
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের