নোদাখালি: 'অমর্ত্য সেনকে (amartya sen threat) ধমকানো, চমকানোর চেষ্টা করলে নিজেরাই ইতিহাস (abhishek banerjee threatens) হয়ে যাবে', নোদাখালি থেকে কড়া হুঁশিয়ারি ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP Threatens) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সঙ্গে আরও বললেন, 'অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করা লজ্জাজনক।'


প্রেক্ষাপট...
হালেই শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি নিয়ে টানাপোড়েন তুঙ্গে ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল করে রাখার অভিযোগ তোলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আইনজীবীকে দিয়ে তার জবাব পাঠাবেন বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়াও জানান অর্থনীতিবিদ। তাঁকে ফের নিশানা করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। জমি নয়, সরাসরি নোবেল নিয়ে অমর্ত্যকে নিশানা করলেন তিনি। অমর্ত্য নোবেল পুরস্কার পাননি বলে দাবি করেন উপাচার্য। পাল্টা জবাব দিয়েছেন অমর্ত্যও। অমর্ত্যকে নিশানা করে বিদ্যুৎ বলেন, "কেউ যদি মনে করেন অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তাহলে ভুল করবেন। অধ্যাপক সেন খুবই বড় মাপের মানুষ। কিন্তু যে অন্যায় করেছেন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো উচিত। আসুন, আলোচনায় বসে এই সমস্যার সমাধান করি, যাতে ভবিষ্যতে আপনাকে এবং বিশ্বভারতীকে সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।" সংবাদমাধ্যমে বিদ্যুৎ আরও বলেন, "উনি নিজেকে নোবেল প্রাপক হিসেবে দাবি করেন বটে। কিন্তু নোবেল পুরস্কার পাননি উনি। যে চুক্তি তৈরি হয়েছিল, তাতে পাঁচ জনকে নোবেল দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। ঠিক হয় নোবেল পাবেন পদার্থবিদ, রসায়নবিদ, ঔষধবিদ, সাহিত্যিক এবং শান্তিবিদ। এর পর কেউ পাবেন না। পরবর্তী কালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এগিয়ে এসে বলে, পুরস্কারের টাকা তারা দেবে।  রবীন্দ্রনাথের নোবেলে দেখেছেন, চেহারাও খোদাই করা আছে। কিন্তু অর্থনীতিতে যাঁরা নোবেল পান, তাতে লেখা হয় অ্যালফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে দেওয়া হল পুরস্কার।" অর্থাৎ সেটিকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না বলে মত বিদ্যুতের। উপাচার্যের এমন মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া চাইলে, অমর্ত্য বলেন, "আমার কিছু বলার নেই। উনি যত ইচ্ছা দাবি করতে পারেন। উনি আমাকে কেন নিশানা করছেন! জানি না কার মাথায় কী ঘোরে। তিনি যদি বলেন, এই জায়গা আমাদের নয়, তাহলে আমিও তো বলতে পারি, এটা উপাচার্যের বাড়ি নয়, আমার ছোট মামা থাকতেন। যে কোনও বিষয়ে কথা বাড়াতে চাইলে, বাড়ানোই যায়। ওঁর সঙ্গে কেন লোকে আলোচনা করতে চান না, সেটা ওঁর চিন্তা করা দরকার একটু। এমন লোক যদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আসেন, যিনি সত্য-মিথ্যার তফাত করতে পারেন না, তাহলে বিশ্ববিদ্যাল.গুলির অূস্থা কেন এত খারাপ, তা নিয়ে আমাদের আলোচনার অবকাশ খুব কম।" এই বিতর্কের প্রেক্ষিতেই এদিনের মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের।


আর কী বললেন অভিষেক?
খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের  ( Hiran Chatterjee ) তৃণমূলে যোগদান দেওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। এদিন সেই জল্পনায় আগেই জল ঢেলে দিয়েছেন খড়গপুরের ( Kharagpur )  বিজেপি বিধায়ক ( BJP MLA ) ! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  ( Abhishek Banerjee ) অফিসে গিয়ে দেখা করা নিয়ে যে দাবি উঠেছিল, তাও ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে দাবি, ১০ই জানুয়ারি তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান। সেখানে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। কিন্তু সে কথা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে এদিন। তাঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'থানায় ক্রিমিনাল কেস করুক হিরণ। আমি অনেক কিছু করতে পারি, কিন্তু করব না , আমি হিরণের জায়গায় হলে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করতাম'। 


আরও পড়ুন:'আমি হিরণের জায়গায় হলে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করতাম'




 



 


আরও পড়ুন:পুরুষ ও মহিলা রোগীদের মাঝে শুধুই দরমার বেড়া, হাসপাতালে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ মিমির