বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: ফের IIT খড়গপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। মৃত পড়ুয়ার নাম ঋতম মণ্ডল। IIT-তে মেকানিক্যাল বিভাগে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন ঋতম। এদিন খড়গপুর IIT-র একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করা হয়।  

সাফল্যের সিড়ির মাঝপথেই শেষ হয়ে গেল সবকিছু। IIT খড়গপুরে ফের এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। মৃত ঋতম মণ্ডল, কলকাতার পূর্ব পুঁটিয়ারির বাসিন্দা। IIT খড়গপুরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে দাবি, ঋতমকে বারবার ফোন করলেও কোনও উত্তর পাননি। শুক্রবার দুপুরে খড়গপুর IIT-র সিকিওরিটি কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বিষয়টি জানান পরিবারের সদস্যরা। রাজেন্দ্র প্রসাদ হলের E203 নম্বর ঘরের দরজা ভেঙে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্র। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার পরিবারের কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। তাহলে কি সেই কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি? নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খড়গপুর IIT কর্তৃপক্ষের তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, IIT-র কাউন্সেলিং সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে ওই পড়ুয়ার মানসিক সুস্থতা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে চলতি বছরেই ৪ ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল খড়গপুর IIT থেকে। ৪ মে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আসিফ কামারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২১ এপ্রিল খড়গপুর IIT-র জগদীশচন্দ্র বসু হল থেকে মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া জেলার বাসিন্দা অনিকেত ওয়াকরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১২ জানুয়ারি আজাদ হল থেকে উদ্ধার হয় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাওন মালিকের ঝুলন্ত দেহ। এবার রাজেন্দ্র প্রসাদ হলের ঘর থেকে আরও এক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই প্রেক্ষাপটে খড়গপুর IIT-র তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুযাদের মানসিক সুস্থতার জন্য ২৪ ঘণ্টা কাউন্সেলিং পরিষেবা রয়েছে ক্যাম্পাসে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে AI নির্ভর প্রকল্পও চালু করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মহেশতলায় নার্সের রহস্যমৃত্যু হয়। গত ৬ জুলাই বাড়ির কাছেই গলির মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচানো, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে বছর ৩৪-এর ওই নার্সকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খুনের অভিযোগ তোলেন মৃত শিল্পীর স্বামী। ওই দম্পতি মহেশতলা পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামী বাইরে ছিলেন, গতকাল রাত ২টো নাগাদ তাঁকে খুঁজতে বের হন স্ত্রী। যে বাড়ির সামনে থেকে ওই নার্সকে উদ্ধার করা হয়, সেই বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মহেশতলা থানার পুলিশ।