প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : রাজ্যে আরও এক বিধায়কের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি। এবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের সম্পত্তিতে নজর আয়কর দফতরের। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়কের সামশেরগঞ্জের বাড়িতে সকালে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। বায়রনের বিরুদ্ধে আয়কর-ফাঁকির অভিযোগে বীরভূমেও চলছে তল্লাশি। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের টিকিটে জেতার তিন মাসের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বায়রন। এবার তাঁর বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। মূলত বায়রন বিশ্বাসের ব্যবসা আয়কর দফতরের নজরে রয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, বায়রন বিশ্বাসের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। তার টাকা বিভিন্ন সেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘোরানো হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর আয়কর দফতরের আধিকারিকরা প্রাথমিক একটা তদন্ত করেন। সেই তদন্ত করার পর আজ ৫০-৬০ জন আধিকারিক বায়রন বিশ্বাসের বাড়ি, তাঁর একাধিক অফিসে পৌঁছে যান। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা মনে করছেন কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণে আয় হয়েছে সেটা দেখানো হয়নি। এছাড়া কোনও সেল কোম্পানি খুলে সেই টাকা ঘোরানো হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে চাইছেন আয়কর আধিকারিকরা।
বামদের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই বিশ্বাস ভাঙেন বায়রন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা ধরে যোগ দেন তৃণমূলে। এই দলবদলের নেপথ্যে কী কারণ ? তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সপ্তাহ ২ পরে সাগরদিঘির বিধায়ক বুঝিয়ে দেন, প্রশাসনিক সুবিধে পেতেই দলবদল ! প্রশাসনিক সাপোর্ট না পেলে মানুষের কাজ করবেন কী করে ! তৃণমূল নেতা ও সাগরদিঘির বিধায়ক বলেছিলেন, "কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। শাসকদলে থাকলে সবদিক থেকে ভাল হয়। প্রশাসনিক সাপোর্ট ভাল পাওয়া যায়।"
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। আর জয়ের ৩ মাসের মধ্যেই দলবদল করেন। বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস (Byron Biswas)। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi Bypolls) ফল ঘোষণার ২০ দিন পর, শপথগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলকে (TMC) হারিয়ে ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এদিকে তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বায়রন। ‘কংগ্রেসে কাজ করতে পারছিলাম না, আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম’ দলবদলের পর মন্তব্য বায়রন বিশ্বাসের ।