সুনীত হালদার, হাওড়া : কিছুদিন আগেই ডেঙ্গি ( Dengue )  ও ম্যালেরিয়ায় ( Malaria ) আক্রান্ত হয়ে জোড়া মৃত্যুর ঘটে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায়।  বর্ষায় ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া। এবার দুই মশাবাহিত রোগ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হাওড়া শহরে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে জেলায় জেলায়। সেই সঙ্গে বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। বিশেষত হাওড়া শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত। (Howrah)


হাওড়া জেলা হাসপাতালে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন অনেকে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৮ জন। এর মধ্যে ৪, ২৩ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলাহাট এলাকা যথেষ্ট ঘিঞ্জি এবং প্রতিদিন সেখানে প্রচুর মানুষের যাতায়াত রয়েছে। ওই এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে।


চলতি বছরে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত হাওড়া শহরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। এই পরিস্থিতিতে রাতে অবশ্যই মশারি লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসনও।  


রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু অব্যাহত। সম্প্রতি প্রাণ গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্র ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার এক গৃহবধূর। অন্যদিকে, কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া।কর্মী আবাসন থেকে ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেল, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।  


রাজ্যে আরও ১ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

অন্যদিকে,  ফের এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল রাজ্যে। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা এক চিকিৎসকের। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বাড়িতেই চলছিল চিকিৎসা। আচমকা প্লেটলেটের পরিমাণ কমে যাওয়ায় মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চারদিন চিকিৎসা চলার পর আজ ভোরে মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের। কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম ছিল বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।                 


এডিস ইজিপ্টাই মশার শরীরে থাকে ডেঙ্গির জীবাণু! সাধারণত এই মশা কামড়ায় দিনে। আর ম্যালেরিয়া হয় অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে। এই মশা রাতে কামড়ায়। বর্ষায় দুয়ের প্রকোপই বাড়ছে। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।  এই অবস্থায় সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার ও জ্বর না কমলে রক্তপরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।