কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা পরিচয় দিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালের (Calcutta National Medical) মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিককে ফোন করে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে তদন্তে নামল পুলিশ (Kolkata Police)। ওই আধিকারিকের অভিযোগ, ফোনে তাঁকে অশালীন কথাবার্তা বলা হয়। এরপরই হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপালের দ্বারস্থ হন তিনি। লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা আধিকারিক। বেনিয়াপুকুর থানায় বিষয়টি জানান ভাইস প্রিন্সিপাল। এরপরই তদন্তে নেমে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
WBCS অফিসার ও স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) পদস্থ কর্তা পরিচয়ে, ন্যাশনাল মেডিক্যালের (Calcutta National Medical College) মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিককে ফোনে অশালীন কথা বলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযুক্তর নম্বরে ফোন করা হলে পরিচিত ব্যক্তির দাবি, নম্বরটি অভিযুক্ত ব্যক্তির নয়।
মোবাইল ফোন বেজে উঠলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন তিনি। আবার কি সেই ফোন? আবার কি সেই অশালীন মন্তব্য? আতঙ্কিত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিক। দ্বারস্থ হয়েছেন হাসপাতালে উপাধ্যক্ষের। উপাধ্যক্ষ অভিযোগ জানিয়েছেন বেনিয়াপুকুর থানায়।
হাসপাতালের মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিককের অভিযোগ, WBCS অফিসার ও স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি একাধিক নম্বর থেকে তাঁকে ফোনে নিয়মিত উত্যক্ত করছেন। অশালীন মন্তব্য করছেন। আধিকারিকের লিখিত অভিযোগ পেয়েই বুধবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এর আগে জানুয়ারি মাসেও হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। WBCS পরিচয় দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের ভয় দেখিয়ে হাসপাতালের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়েন। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ঘটনার ছবি।
যে সব নম্বর থেকে হাসপাতালের মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিককে উত্যক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ, সেই নম্বরে ফোন করা হলে এক ব্যক্তি জানান, তিনি অভিযুক্তকে চেনেন। কিন্তু নম্বরটি অভিযুক্ত ব্যক্তির নয়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ১৭ মার্চ পর্যন্ত অনুব্রতর জেল হেফাজত, নির্দেশ আসানসোলের বিশেষ আদালতের
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষক। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকার কারণে হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ পেয়ে তিনি হতবাক। প্যানেলে ছিলাম তাই জানতাম না, দাবি শিক্ষকের। কে বা কারা তাঁর নাম সুপারিশ করল, তা নিয়েও অন্ধকারে ওই স্কুল শিক্ষক। জবাব এড়ালেন ডিআই ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান।