নয়াদিল্লি: রেনিটিডিন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল সরকার। অ্যাসিলক, জিনট্যাক এবং ব়্যান্টাক ব্র্যান্ডের ছাতার তলায় রেনিটিডিন বিক্রি হয়। এই ওষুধটি প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর সরকার একটি প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা বের করে। এবার সেই সংশোধিত তালিকায় রেনিটিডিন নেই। প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা National List of Essential Medicines (NLEM) প্রথম ১৯৯৬ সালে প্রথম বের হয়। এরপর ২০০৩. ২০১১, ২০১৫ সালে তিনবার সংশোধিত হয় এই তালিকা । ভারত সরকার ক্যান্সার সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধের জাতীয় তালিকা থেকে কয়েকটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধকে বাদ দিয়েছে। তালিকায় ৩৪টি ওষুধ যোগ করা হয়েছে। মোট ৩৮৪টি ওষুধটি ওষুধ রয়েছে তালিকায়। আগের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ২৬টি।
রেনিটিডিন সাধারণত অ্যাসিডিটি এবং পেটের সমস্যা সম্পর্কিত অসুখের জন্য প্রেসক্রাইব করা হয়। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, ক্যানসার সম্পর্কিত উদ্বেগের জন্য রেনিটিডিন এখন সরকারের স্ক্যানারে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল এবং অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হয়েছে। ওষুধের যে স্টক রয়েছে, তার থেকে লবণ বের করে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
২০১৯ সালে, মার্কিনি একটি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সংস্থা প্রথম ওষুধটিতে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন উপাদান (probable cancer-causing impurities) খুঁজে পায়। রেনিটিডিন ( Ranitidine) এর নমুনায় ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন উপাদান, এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন (N-nitrosodimethylamine ) অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় পাওয়া যায়।
সাদা পেট্রোলটাম
তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে আরও কিছু। ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় সাদা পেট্রোলটাম। এটিও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পেট্রোল্যাটামকে (Petrolatum) কার্সিনোজেন (carcinogen) শ্রেণিতে অন্তর্ভূক্ত করে । এই উপাদান প্রসাধনীতে ব্যবহার হয়। সম্পূর্ণ পরিশোধনের ইতিহাস জানা থাকলে তবেই ইউরোপে এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। তখনই তাকে non-carcinogenic বলা যেতে পারে। পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বকের ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় ওষুধ কী?
National Pharmaceuticals Pricing Authority প্রতি তিন বছরে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। এরাই প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা সংশোধন করে । ওষুধের দাম যতটা সম্ভব আয়ত্বের মধ্যে আনার দায়িত্বও পালন করে এই সংস্থা।