সনৎ ঝা ও মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: প্রকৃতির 'মার' বোধহয় এরকমই! না হলে হঠাৎ এরকম তীব্র তুষারপাত? পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে পূর্ব সিকিমের (Indian Army Rescues Tourists From Nathu La) নাথু লা-য় আটকে পড়েন ৫০০ জন পর্যটক, দাঁড়িয়ে যায় ১৭৫টি গাড়ি। এঁদের প্রত্যেককে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়ে উদ্ধার করে আনল ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'ত্রিশক্তি কোর।'


বিশদ...
যত সহজে বলা গেল, কাজটা আদপেই তত সহজ ছিল না। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে! সেখান থেকে একে একে ৫০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা মোটেও মুখের কথা নয়। ওঁরা সেটিই করে দেখালেন। ওঁরা মানে 'ত্রিশক্তি কোর'-র আধিকারিকরা। দেশের সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি আম নাগরিকের বিপদে এগিয়ে আসাও তাঁদের কাছে একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। শুধু উদ্ধার করেই থেমে যাননি। পর্যটকরা যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা পান, উষ্ণ খাবার পান এবং নিরাপদ পরিবহণ পেতে পারেন, সে দিকেও খেয়াল রেখেছিলেন। এক কথায়, বন্ধুর প্রকৃতির চোখে চোখ রেখে দুরন্ত সাফল্য ছিনিয়ে এনেছেন তাঁরা। সঙ্গে প্রমাণ করে দিয়েছেন, আম নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত তাঁদের অগ্রাধিকার। এক দিকে যখন ভারতীয় সেনার এই বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, তখন অন্য দিকে, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের পূর্বাভাস, বিপুল তুষারপাতের জেরে উত্তর ও পূর্ব সিকিমের একাধিক সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক গতিবিধি ধাক্কা খেতে পারে।


আর যা...
শুধু সিকিম নয়, গত কয়েক দিনে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে প্রবল তুষারপাতের ছবি ধরা পড়েছে। হিমাচল প্রদেশের লাহৌল ও স্পিতি এলাকার এই কেলং অঞ্চলের কথাই ধরা যাক! তুষারপাতের জেরে এই এলাকার রং এখন সাদা। ৪টি জাতীয় সড়ক-সহ ২২৮টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে হিমাচলে। সংবাদংস্থার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, তুষারপাতের জেরে আসল চেহারা বদলে সাদা রং ধরেছে হিমাচল রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বড় বাসগুলিতেও। কিছুটা এক ছবি উত্তরাখন্ডের একাংশেও। তুষারপাত এড়াতে পারেনি উত্তরাখন্ড-ও। চামোলি জেলার বদ্রীনাথ মন্দিরের উপর বরফ পড়ে সেখানেও সাদা রঙেরই দাপট আপাতত। আবার জম্মু ও কাশ্মীরের কথা বাদ দিলে তুষারপাতের বিবরণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। খোদ শ্রীনগরের রাস্তায় এখন বরফের ছড়াছড়ি। সেই বরফের মধ্যে দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বস্তুত, গত মঙ্গলবার থেকে ভারী তুষারপাত হয়েছে কাশ্মীরের বারামুলায়। এমন বরফ পড়েছে যে মূল এলাকায় থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রান্তিক এলাকায় থাকা গ্রামগুলি। তবে দ্রুত বরফ সরিয়ে রাস্তা ঠিক করার কাজও হয়েছে।


আরও পড়ুন:সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ কোচবিহারে, ABVP-র ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধমার