জয়নগর: সিপিএম নেতাদের পর আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকেও (ISF MLA Nawsad Siddiqui Stopped At Joynagar)জয়নগরে ঢোকার পথে আটকে দিল পুলিশ। জয়নগরের গোচরণে আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে যখন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইএসএফ বিধায়ক, তখনই শোনা যায় তৃণমূল কর্মীরা 'গো ব্যাক' স্লোগান দিচ্ছেন। 


যা ঘটল...
গত কাল তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের অভিযোগ ওঠার পর দলুয়াখাকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি ওঠে। বেছে বেছে সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ।সেই ঘটনায় ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা আজ বাড়ি ফিরতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে যান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকে। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ সিপিএম নেতা এবং গ্রামবাসী কাউকেই ঢুকতেই দেয়নি। পুলিশের অবশ্য দাবি, স্রেফ সিপিএম নেতাদেরই আটকানো হয়েছে। যদিও ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি অন্য কথা বলছে। এই টানাপড়েনের পর, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁকেও একই বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ভাঙড়ের বিধায়ক পুলিশ আধিকারিকদের বলছেন, যে আইনের জোরে তাঁকে আটকানো হচ্ছে, সেই আইনি কাগজ দেখানো হোক। সে রকম কোনও কাগজ পুলিশের তরফে দেখানো না হলেও নৌশাদকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি, এমনই অভিযোগ। এর মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা নৌশাদকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয় বলে শোনা যায়।      


আর যা...
গত কাল জয়নগরের দাপুটে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে তুলকালাম শুরু হয়। অভিযোগ, পাল্টা হিসেবে দলুয়াখাকি গ্রামে বেছে বেছে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় নির্মম ভাবে। সেই ঘটনায় অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়েছিল বলে সিপিএম সূত্রে খবর। তাঁরা দলীয় দফতরে আশ্রয় নেন। আজ, মঙ্গলবার, সেই ঘরছাড়া গ্রামবাসীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবেন বলেই সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান সিপিএম নেতারা এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সিপিএম নেতারা গ্রামের ভিতর গেলে অশান্তি হতে পারে এই যুক্তিতে সুজনদের আটকে দেওয়া হয়। তা হলে গ্রামবাসীদের আটকানো হল কোন যুক্তিতে? এই নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করা হলে তাঁদের সটান উত্তর, ' ওঁদের আটকানো হয়নি।' সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে, তা অবশ্য অন্য কথা বলছে। সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ আধিকারিকের এক জবাব, ' ওঁদের আটকানো হয়নি।' সঙ্গে সংযোজন, 'ওঁদের নিশ্চিত ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।' কিন্তু এখনই কেন নয়? উত্তর নেই। অভিযোগ রয়েছে আরও। ঘরছাড়া পরিবারগুলি যে আজ ফেরার চেষ্টা করবেন, সে কথা জানা সত্ত্বেও কেন কোনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিল না? এরও কোনও উত্তর দেয়নি প্রশাসন। এদিকে বিক্ষুব্ধ মহিলাদের অভিযোগ, 'এক জনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। আমাদের ঠেলে সরিয়েছেন পুরুষ পুলিশকর্মীরাই।' সব মিলিয়ে তুমুল অশান্তি।


আরও পড়ুন:রেশন সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার মুর্শিদাবাদে, চাপে পড়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার রেশন ডিলারের