মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : কুয়োয় উপুড় হয়ে ভাসছে ৬ বছরের শিশুকন্যার দেহ। লন্ডভন্ড গোটা ঘর। খোলা রয়েছে আলমারি। মেঝেতে পড়ে জামাকাপড়, বিভিন্ন নথি। এক শিশুকন্যার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Burdhaman) পাণ্ডবেশ্বরে। পরিবারের সন্দেহ, লুঠপাট দেখে ফেলায় শিশুটিকে খুন করা হয়েছে !
এলাকারই বাসিন্দা সন্ধ্যা গোস্বামী। তাঁর দাবি, সোমবার রাতে ২ সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন পাশে নেই তাঁর ৬ বছরের শিশুকন্যা। এরপর শুরু হয় খোঁজ। কুয়োর ভিতরে ভাসতে দেখা যায় শিশুটির দেহ। ছোট্ট মেয়ের নিথর দেহ কুয়োতে দেখার পর থেকে শোকে পাথর মা। থামছে না কান্না। তবে কি লুঠ করতে এসেই কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে ? পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে তেমনটাই। মৃত শিশুর বাবা বাপি গোস্বামী বলেছেন, আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলেছে। টাকা পয়সা সব লুঠ করে নিয়ে গেছে।
মৃত শিশুর মায়ের দাবি, গতকাল রাতে স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। দুই মেয়েকে নিয়ে মা ঘুমিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ঘুম থেকে উঠে দেখেন, আলমারি খোলা, টাকাপয়সা খোয়া গিয়েছে, মেঝেয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ব্যাঙ্কের পাস বই, গুরুত্বপূর্ণ নথি। একই সঙ্গে তাঁর ৬ বছরের মেয়েরও খোঁজ মিলছিল না। পরে বাড়ির কুয়ো থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়।
দমকলে খবর দিলে কুয়োর জল ছেঁচে উদ্ধার করা হয় শিশুটির মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কীভাবে শিশুকন্যার মৃত্যু হল, খতিয়ে দেখছে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- শীতের আমেজে নিম্নচাপের ফলা, চলতি সপ্তাহে রাজ্যের কোন জেলায় কেমন বৃষ্টি-শঙ্কা ?