প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া : দোলের ( Dol Yatra ) দিন কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা মায়াপুরের ইসকন মন্দির ( ISKON Temple ) । চৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৮ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত এসেছেন।
গৌড় পূর্ণিমা উৎসবের সূচনা
রবিবার রাত থেকেই অধিবাসের মাধ্যমে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে গৌড় পূর্ণিমা উৎসবের সূচনা হয়। মায়াপুরে দোল খেলায় নিষেধ রয়েছে। বাইরের রং নয়, এদিন কৃৃষ্ণপ্রেমে নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়ার পালা। সোমবার সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে উৎসবের দিনের সূচনা হয়। দিনভর চলবে হরিনাম সংকীর্তন, বিশেষ পুজো। বিকেলে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে শ্রী চৈতন্যের আবির্ভাব উৎসবের পরিসমাপ্তি হবে।
দোলের শুরুর কথা
মায়াপুর ইসকন মন্দিরে রং খেলা নিষিদ্ধি ঠিকই , তবে দোল পূর্ণিমার শুভ সূচনা হয় আগে ভাগেই। সপ্তাহ দুয়েক আগে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দোল উৎসবের শুরু হয় ইসকনে। আন্তর্জাতিক ইসকন প্রধান জয়পতাকা মহারাজ উৎসবের সূচনা করেন । মায়াপুরে ১ মাস ধরে চলে নানাবিধ অনুষ্ঠান। দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতি বছরই দেশ ও বিশ্বের কোনা কোনা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় মায়াপুর মন্দিরে। নানারকম অনুষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিশ্বশান্তি যজ্ঞ, নৌকাবিহার, শোভাযাত্রা ইত্যাদি।
দোলের অনুষ্ঠান
দোলে দিনভর হরিনাম সংকীর্তন সহ বিশেষ পুজাপাঠ চলবে। বিকেলে তিনটি পৃথক মঞ্চে ভগবান শ্রীচৈতন্যের জন্মের সন্ধিক্ষণে শুরু হবে বিগ্রহের মহা অভিষেক অনুষ্ঠান। এই মহা অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের ১০০ টি দেশ থেকে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি ভক্তরা সমবেত হয়েছেন ইস্কন চত্বরে।
দোল মানেই সবার রঙে রং মেশানোর দিন। নাচে-গানে রঙিন আনন্দে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। দোলের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে নেয় সব বয়সের মানুষ। তবে মায়াপুরে ইস্কনের দোল একটু অন্যরকম। সারা দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলেছে রং, পিচকিরি, আবিরের বিকিকিনি। দোল উপলক্ষে দিনভর নানা জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় সপ্তাহ খানেক ধরেই দোলের আয়োজন চলছে। ইস্কনেও দোলের আয়োজন চলছে বেশ কিছুদিন ধরে, তবে সেই দোল একবারেই কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা হওয়ার দোল।
আরও পড়ুন :