সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: কাকভোরে হঠাৎ যুদ্ধ শুরু! ঘন ঘন এয়ার রেড সাইরেন, বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দে কান পাতা দায়! আতঙ্কের আবহে ইজরায়েলের (Israel) তেল আভিভ (Tel Aviv)-সহ বিভিন্ন শহরে আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি পড়ুয়া ও গবেষক। ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা ইজরায়েল থেকে সরাসরি তাঁরা জানিয়েছেন এবিপি আনন্দকে। 


দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর যুদ্ধে ফের অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ডুবেছে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎ। হঠাৎ বেধে যাওয়া এই সংঘর্ষের আবহে চূড়ান্ত উৎকণ্ঠা হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে, এই বাংলায়।                                       


ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের গবেষক দীপন চৌধুরী। হুগলির হিন্দমোটরের শিবতলা স্ট্রিটের বাসিন্দা। গত মে মাসেই গিয়েছেন তেল আভিভ। শনিবার টেলিভিশনের পর্দায় হামাসের হামলার খবর পেতেই ঘুম উড়েছিল তাঁর পরিবারের। কোনওক্রমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা গেছে ঠিকই, কিন্তু, পরিস্থিতি ভয়ানক।  (Israel Palestine War)


দীপনের কথায়, রকেট উড়লেই সাইরেন শুনে আয়রন ডোমে শেল্টার নিতে হচ্ছে। তবে জল খাবার বা প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব নেই। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইজরায়েলের নাগরিক যারা তাদের সেনার কাজে চলে যেতে হয়েছে।' 


তেল আভিভ থেকে জেরুজালেমের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটারের বেশি। এর মাঝামাঝি বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছিল হামাস। যুদ্ধের পঞ্চম দিনে তার অভিঘাত একটু কমেছে। কিন্তু, বন্ধ হয়নি। শেলিং, রকেট হামলার মধ্যে সতর্ক ইজরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী।                                                                                                                            


যে ৩৫ একর ভূখণ্ড নিয়ে এত বিতর্ক। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে, সেই জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী স্রোতস্বিনী সরকার। যুদ্ধের খবর পেয়ে তাঁর পরিবার রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।


দুই বাঙালি পরিবারের এখন একটাই চিন্তাই, এই যুদ্ধের শেষ কবে? 


আরও পড়ুন, নিজের দেশেই শরণার্থী হয়ে বাঁচা, কোণঠাসা হতে হতে অস্তিত্ব সঙ্কটে প্যালেস্তিনীয়রা