রুমা পাল, কলকাতা : চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ল্যান্ডার বিক্রমের (Vikram Lander) সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের পরই ইসরো চেয়ারম্যানকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর-সহ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‍্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তির সহায়তা চান তিনি । (ISRO) 

চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পরের দিন  মালদা যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল। যাওয়ার পথে ট্রেনেই ইসরোর চেয়ারম্যান ও যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। পরে ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বললেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য। সাহায্যের ব্যাপারে ইসরোও নাকি আশ্বাস দেয়। তারপরই আজ, বুধবার জানাগেল, যাদবপুরে আসছে ইসরোর প্রতিনিধ দল। (Jadavpur University) 


আগামী দু’দিনের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছবে ইসরো-র টিম। ইসরো-র তরফে চিঠি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে সে-কথা।  রাজভবন সূত্রে খবর, র‍্যাগিং রুখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। যাদবপুরের পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যাবে ইসরো-র টিম, খবর পাওয়া গিয়েছে রাজভবন সূত্রে।  


চন্দ্রযান ল্যান্ডিং-এর দিনেই ইসরো-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এবার ক্যাম্পাসে র‍্যাগিং ও বহিরাগতদের রুখতে সেই ইসরোর-ই কি কোনও উন্নত প্রযুক্তি পাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? 


অন্যদিকে,  ছাত্র মৃত্যুর পর থেকে, যাদবপুরে CCTV ক্যামেরা বসানোর জোরদার দাবি উঠেছে, কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তা নিয়ে সম্প্রতি আরও চড়েছে রাজনীতির পারদ। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ক্যামেরা বসানো নিয়ে, সরাসরি সিপিএমকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা কটাক্ষ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ওঁর যাদবপুরে ঢোকার যোগ্যতা নেই।

রাজনীতির পারদ তো চড়ছে, কিন্তু ছাত্র-সুরক্ষার কী হবে ? কবে বসবে সিসিটিভি ? ISRO কি সত্যিই কোনও প্রযুক্তিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ব়্যাগিং রুখতে পারবে ? এই উত্তর পাওয়া যেতে পারে সংস্থার প্রতিনিধি দল ঘুরে গেলে।   


সিসিটিভির পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার ভার এবার প্রাক্তন সেনা কর্মীদের হাতে তুলে দিতে চায় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রককেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। ছাত্র মৃত্যুর পর তৎপর হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানিয়েছেন, অ্যান্টি-র‍্যাগিং স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ১০টি পয়েন্টে এবার থেকে চেকিং হবে।  বিশেষ নজরদারি থাকবে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ওয়ানে। এর পাশাপাশি, যাদবপুর ক্যাম্পাসে মদ ও মাদক সেবন রুখতে নারকোটিক্স কন্ট্রোলের বিশেষ ডিটেক্টর লাগানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 


আরও পড়ুন :


সামনেই প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন, দেশজুড়ে বিরাট প্ল্যান বিজেপির