সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : ৭১ ঘণ্টা পর শেষ হল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas ) ভাইয়ের বাড়িতে আয়কর-তল্লাশি। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ স্বরূপ বিশ্বাসের ( Swarup Biswas ) নিউ আলিপুরের সাহা কলোনির ফ্ল্যাটে হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। তারপর থেকেই চলছিল ম্যারাথন তল্লাশি।
বুধ বার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের অফিসেও চলে তল্লাশি। তারপর বৃহস্পতি, শুক্র কাটিয়ে শনিবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ স্বরূপের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান আয়কর আধিকারিকরা। টানা তিনদিনের এই আয়কর হানাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন স্বরূপ বিশ্বাস।
স্বরূপের স্ত্রী এবং ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের দাবি, বিরোধী রাজনৈতিক দল করার কারণেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই তৎপরতা। আয়কর দফতর সূত্রে দাবি, ২টি রিয়েল এস্টেট সংস্থা সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের তথ্য হাতে আসায় তদন্ত করতে গিয়ে মন্ত্রীর ভাইয়ের নাম উঠে আসে। সেই কারণেই অভিযান।
আয়কর দফতর সূত্রে দাবি, ২টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির হিসাব সংক্রান্ত কিছু অনিয়মের তথ্য তাদের হাতে আসে। এই দুটো কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ও নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে, সেখান থেকে সামনে আসে স্বরূপ বিশ্বাসের নাম। সেই সূত্র ধরেই লাগাতার তল্লাশি চালানো হচ্ছে মন্ত্রীর ভাইয়ের ঠিকানায়। স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে, ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পার্টি অফিসেও বুধবার হানা দেন তাঁরা। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর, স্বরূপ বিশ্বাসের স্ত্রী জুঁই বিশ্বাস। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই এবং কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের স্বামী ছাড়াও অন্য পরিচিতি রয়েছে স্বরূপ বিশ্বাসের। তিনি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক এবং ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়াকার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি পদেও ছিলেন। আয়কর হানা চলাকালীন, ফ্ল্যাটের ভিতরেই রয়েছেন স্বরূপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী জুঁই বিশ্বাস। শুক্রবার ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে অনুগামীদের উদ্যেশ্যে হাত নাড়তে দেখা যায় কাউন্সিলরকে।
আরও পড়ুন :
অন্যদিকে, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের আরও এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে ED। গতকাল সকাল সোয়া ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে বোলপুরের নায়েক পাড়ায় চন্দ্রনাথ সিন্হার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ED সূত্রে দাবি, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চন্দ্রনাথ সিন্হা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে ED-র দাবি।