কলকাতা: বালেশ্বর দুর্ঘটনার (Balasore Accident) তদন্ত আজই শুরু করেছে সিবিআই। 'সমান্তরাল তদন্ত চলছে, এখনও সময় লাগবে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, জানতে এখনও সময় লাগবে'। জানালেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। বালেশ্বরে রেল বিপর্যয়ে মামলা রুজু করল সিবিআই। বিপর্যয়ের দিন সকালে কারা ডিউটিতে ছিলেন, কারা ছিলেন বিকেলে? ঘটনার দিন উপস্থিত রেলকর্মীদের তালিকা তৈরি করল সিবিআই, খবর সূত্রের। 


কারা ওইদিন ছুটিতে ছিলেন, সে নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই, খবর সূত্রের। দুর্ঘটনার আগে সিগন্যাল রুমে কী হচ্ছিল, কারা ছিলেন প্যানেল কন্ট্রোল রুমে? কে প্যানেল কন্ট্রোল রুমে পয়েন্ট চেঞ্জ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন? প্রশ্ন সিবিআইয়ের। সিগন্যাল সবুজ থাকা সত্ত্বেও লুপ লাইনে কেন ট্রেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই। ষড়যন্ত্র, না নাশকতা, দুর্ঘটনার পিছনে কারণ জানতে তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১০ সদস্যের সিবিআই টিম এর আগেই পৌঁছয় বালেশ্বরে। টিমের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর বিপ্লব চৌধুরী। 


করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কারণ কী? সেই উত্তর কি লুকিয়ে রয়েছে স্টেশনের রিলে রুমে? বর্তমান প্রযুক্তিতে সিগন্য়াল এবং পয়েন্ট পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, একমাত্র রিলে রুম থেকেই সিগন্য়াল এবং পয়েন্টের এই সমন্বয় বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। বাহানাগা বাজারেও কি তাই হয়েছিল? তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।


বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিবিআইয়ের ১০ জনের প্রতিনিধি দল। দুর্ঘটনার দিন কোন শিফটে কোন কর্মীরা ছিলেন, কারাই বা ছুটিতে ছিলেন, নামের তালিকা সঙ্গে করে নিয়ে গিলেন তাঁরা। এদিকে, রেল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে মঙ্গলবার কিছুটা হলেও সুর নরম মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। 


অন্তর্ঘাত, না কি নিছকই ভুল? কারণ খুঁজতে 'করমণ্ডল ফাইলস' খুলল CBI দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা! মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ 


সিবিআইয়ের ১০ জন অফিসারের টিম পৌঁছয় বাহানাগা বাজার স্টেশনে। দিল্লি থেকে আসেন জয়েন্ট ডিরেক্টর বিপ্লব চৌধুরী ও আরও ১ জন আধিকারিক। বাকি ৮ জন আধিকারিক যান ভুবনেশ্বর থেকে।  সিবিআই আধিকারিকরা একে একে যান, বাহানাগা বাজার স্টেশন, প্যানেল কন্ট্রোল রুম , পয়েন্ট নম্বর ১৭ এবং স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে।


শুক্রবার বাহানাগা স্টেশনে মর্নিং শিফটে কোন কর্মীরা ছিলেন? দুপুরের শিফটে কারা ছিলেন? দুর্ঘটনার দিন কারা ছুটিতে ছিলেন? দুর্ঘটনার আগে কোন কোন ট্রেন সেখান দিয়ে ক্রস করেছিল? মেন লাইনে সিগন্যাল সবুজ থাকলেও, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লুপ লাইনে ঢোকার নেপথ্য়ে কী রহস্য়? কারা থাকতে পারে এর পেছনে?  


সমস্ত তথ্য জানতে খোজঁ খবর শুরু করেছে সিবিআই। স্টেশন চত্বরে যে কোনও সিসি ক্য়ামেরা নেই, সেই বিষয়টিও নজরে আসে তাদের। এরইমধ্য়ে রেল দুর্ঘটনার তদন্তে সিবিআই কেন এই প্রশ্নে এখনও রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক জোরদার। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ট্য়ুইটে লিখেছেন,বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্ট জমা পড়ার আগেই সিবিআই তদন্ত ঘোষণা করে দেওয়া হল। এটা কিছুই নয়, ডেডলাইনে পৌঁছতে না পেরে হেডলাইন ম্যানেজমেন্ট। তবে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রথম দিন সুর চড়া করলেও, মঙ্গলবার কটকে সুর কিছুটা নরম শোনা গেছে মুখ্য়মন্ত্রীর।