কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সহ উপাচার্যের রহস্যমৃত্যু রিজেন্ট পার্কে সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে সহ উপাচার্য স্যমন্তক দাসের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার করা হয়েছে। সিলিং ফ্যানে ক্যারাটের বেল্ট দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় বুধবার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, পারিবারিক কোনও বিষয় নিয়ে ডিপ্রেশনে (Depression) ছিলেন স্যমন্তক দাস। দুপুর ২.৩০: ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একাই রিজেন্ট পার্কের ফ্ল্যাটে থাকতেন যাদবপুরের সহ উপাচার্য। কম্পারেটিভ লিটারেচার (Comparative Literature) বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) সহ উপাচার্য স্যমন্তক দাস। তাঁর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ যাদবপুর।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন: শহরে আরও এক অস্বাভাবিক মৃত্যু! ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সহ উপাচার্যের ঝুলন্ত দেহ! ডিপ্রেশনে আত্মঘাতী (Suicide)? না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? দানা বাঁধছে রহস্য।মৃতের নাম, স্যমন্তক দাস, বয়স ৫৭। থাকতেন, রানিকুঠিতে রিজেন্ট পার্ক গভর্নমেন্ট হাউসিং এস্টেটে। রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কাজে আসেন ফ্ল্যাটের পরিচারিকা। তাঁর দাবি, সহ উপাচার্যর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটে থাকা প্রোভিসির মাকে ডাকেন তিনি। তারপরেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে স্যমন্তক দাসের ঝুলন্ত দেহ।
পুলিশের বয়ানে: পুলিশ জানিয়েছে, ক্যারাটের বেল্ট গলায় পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সহ উপাচার্য। উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং ছাত্রছাত্রীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু তাঁর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলছেন, খুব ভাল মানুষ। কদিন ধরে শরীর খারাপ ছিল বলছিলেন।
পুলিশের অনুমান, পারিবারিক ও অন্যান্য কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সহ উপাচার্য। সেই কারণেই আত্মহত্যা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রুজু করা হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।