কলকাতা: যাদবপুরে অশান্তির ঘটনায় মোট পাঁচটি FIR দায়ের হল। আটক করা হয়েছে একজনকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা চালানো, তাঁকে আটকানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং তার ফলে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট নিয়ে দু'টি অভিযোগ করেছে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন WBCUPA.  শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্যা। অন্য দিকে, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ জানিয়েছেন যাদবপুরের এক পড়ুয়া। যাদবপুর থানায় এই পাঁচ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। (Jadavpur University Chaos)

Continues below advertisement

শনিবার দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত দফায় দফায় অশান্তি ছড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য, অধ্যাপকরা যেমন আহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন পড়ুয়ারাও। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রবিবার সকালেও পরিস্থিতি থমথমে। গতকালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচটি FIR দায়ের হয়েছে যাদবপুর থানায়। পাশাপাশি, একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোয় যুক্ত থাকায় বেশ কয়েক জনের খোঁজ চলছে। (Jadavpur University Clash)

গোটা ঘটনার সূচনা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিকে ঘিরে। অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে বলে দাবি তোলে বাম ছাত্র সংগঠন SFI. সকাল থেকেই সেই নিয়ে পরিস্থিতি তেতে ছিল। দুপুরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রাত্য ABCUPA-র বৈঠক থেকে বেরোলে সেই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্রাত্যর গাড়ির সামনে বসে পড়া থেকে গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। গাড়ির কাচ ভাঙার পাশাপাশি, চাকার হাওয়াও খুলে দেওয়া হয়। ছোড়া হয় জুতোও। ব্রাত্যকে হেনস্থা করার অভিযোগও ওঠে। কোনও রকমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে SSKM হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। ব্রাত্যর দাবি, উপাচার্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতে বললেও, তিনি ডাকতে চাননি। 

Continues below advertisement

আর এসবের মধ্যেই ঘটে যায় রক্তারক্তিকাণ্ড। মাথা ফেটে যায় এক বিক্ষোভকারী ছাত্রের। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে। ইন্দ্রানুজ নামের আর এক পড়ুয়ার উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায় বলে জানা যায়। অভিনব নামের আর এক পড়ুয়ার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ক্যাম্পাসে তৃণমূলপন্থী কর্মী সংগঠন শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় জিনিসপত্রে। ভেঙে ফেলা হয় অফিসের দরজার কাচ। দেখা যায়, চেয়ার, কম্পিউটার সব পড়ে রয়েছে। সন্ধের পর যাদব বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্ত্বর পুলিশ-RAF-এ ছয়লাপ করে দেওয়া হয়। এর পর এইচ বি বাসস্ট্যান্ডও অবরোধ করেন ছাত্ররা। দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। ছাত্রদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।