অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয়র (Jadavpur University) সমাবর্তনে ফের জটিলতা। এবার শুরু হল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় অধ্যাপকদের।  
   
ফেটসু (FETSU) কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এসএফআই-ও (SFI)। ওপেন এয়ার থিয়েটারে সমাবর্তন অনুষ্ঠান চলছিল। বাইরে বিক্ষোভ হচ্ছিল। তারপরে ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা।  দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান শুরু আগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন পড়ুয়াদের একাংশ।   


কেন বিক্ষোভ:
গতকাল থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন ঘিরে যে জটিলতা শুরু হয়েছে তার বিরোধিতা করে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University convocation 2023) স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়নি তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট করানোর দাবি তুলেও এদিন স্লোগান দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষবার ছাত্রভোট হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।                                    


শুরু থেকেই জটিলতা:
রাজ্যপালের অপসারণ-নির্দেশ অগ্রাহ্য করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির হয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ। আচার্য-রাজ্যপালের আসনের পাশেই অপসারিত উপাচার্যর আসন। যাদবপুরের সমাবর্তনে এলেন না সি ভি আনন্দ বোস। কলকাতায় থাকলেও, সমাবর্তনে যোগ দিলেন না UGC চেয়ারম্যানও। আইনি জটিলতা এড়াতে পড়ুয়াদের ডিগ্রি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য। সমাবর্তনের আগের দিন, গতকালই অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে বরখাস্ত করেন আচার্য-রাজ্যপাল। এরপরই বুদ্ধদেব সাউয়ের পৌরোহিত্যেই সমাবর্তনের আয়োজন করার জন্য রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। সমাবর্তনের আগে এদিন কোর্ট বৈঠক করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারণ ঘিরেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল ও আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের উপাচার্য অপসারণের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রেজিস্ট্রারকে লেখা চিঠিতে রাজ্য জানিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যাটুটে রয়েছে। এর সঙ্গে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে। রাজ্যপাল যে পদ্ধতিতে উপাচার্যকে অপসারণ করেছেন, তা বেআইনি বলেও জানিয়েছে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে একতরফা ভাবে রাজ্যপাল উপাচার্যকে অপসারণ করতে পারেন না বলেও চিঠিতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। 


আরও পড়ুন:  ৩৫ বার ফেল! তবু মাঠ ছাড়েননি, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে কীভাবে সফল IAS হলেন বিজয় বর্ধন?