কলকাতা: ছাত্রের মৃত্যুর পর টনক নড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)? হস্টেলে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে মানল বিশ্ববিদ্যালের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। পাস আউটদের ৩ দিনের মধ্যে হস্টেল খালি করার নির্দেশ। পাশাপাশি প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের নিউ বয়েজ হস্টেলে রাখার সিদ্ধান্ত।
ছেলেটা যখন চিরঘুমে। তখন ঘুম ভাঙল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ৪ দিন পর, অবশেষে ক্যাম্পাসে এলেন রেজিস্ট্রার। আজ গোটা রাজ্য়ের নজর যাদবপুরের দিকে। সোমবার কার্যত ম্যারাথন বৈঠক হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। সিদ্ধান্ত হল, আর প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সিনিয়রদের সঙ্গে রাখাই হবে না। বলা হল, ক্যাম্পাস ও হস্টেলে সিসিটিভি বসানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।এদিনই, তড়িঘড়ি ক্যাম্পাসে পড়ল অ্যান্টি র্যাগিং পোস্টার। সোমবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে তিন দফা বৈঠক হয়। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটির বৈঠকও হয়। সেখানে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া এক ছাত্রী। সূত্রের খবর, তাঁর দাবি, ক্য়াম্পাসে ২ বার দেখা হয়েছিল প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার সঙ্গে। তখন বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে ভয়ঙ্কর টেনশনে আছে, বলে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। প্রচন্ড ঘেমে যাচ্ছিল সে। ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, কথা বলার চেষ্টা করলেও, প্রথম বর্ষের পড়ুয়া কিছুই জানায়নি। তারপরই বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
কী সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ?
এদিন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠকে হস্টেল ও ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে, এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।প্রশাসনিক ও তদন্ত কমিটির বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য প্রাক্তন সেনাকর্মীদের নিয়োগ করা হবে। এবিষয়ে রাজ্য সরকারের সহায়তা নেওয়া হবে। আর সিনিয়র-জুনিয়রদের একসঙ্গে রাখা হবে না। বৃহস্পতিবার ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অন্য হস্টেলে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার সেই কাজ খতিয়ে দেখেন প্রোভিসি এবং ডিন অফ স্টুডেন্ট। সোমবার, হস্টেলে আবাসিক ছাত্রদের আশ্বস্ত করতে যান রেজিস্ট্রার। প্রশ্ন উঠছে, নির্দেশ ছিল, পরিকাঠামো ছিল, তারপরও কেন এতদিন সিনিয়র-জুনিয়রদের হস্টেল আলাদা করা হয়নি? যেটা এক রাতে করা গেল, সেটা কেন বছরের পর বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছিল?
আরও পড়ুন: Train Cancel: দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বাতিল প্রচুর দূরপাল্লার ট্রেন, যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা