সন্দীপ সরকার ও আবির দত্ত, কলকাতা : কীভাবে মৃত্যু হল অনামিকা মণ্ডলের ? তার তদন্ত এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ঝিলে ডুবুরি নামাল পুলিশ। পাঁচ জন ডুবুরি টানা দেড়-দু'ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালান। তাতে একজুড়ো জুতো উদ্ধার হয়েছে। তবে, চশমার কোনও হদিশ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। আবার হয়ত তল্লাশি চালানো হতে পারে ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন এই ঝিলে।
এদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ তল্লাশি চালানো হয়। ঘটনার পর থেকেই অনামিকা মণ্ডলের চশমা এবং জুতো পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে এদিন ঝিলে ডুবুরি নামানো হয়। তাতে একজোড়া জুতো পাওয়া যায়। তা অনামিকারই কি না তা অবশ্য পরবর্তী সময়ে স্পষ্ট হবে। ওই রাতে যে তিন নিরাপত্তারক্ষী ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের আনা হয়েছে ঘটনাস্থলে। তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা কথা বলছেন। পুরো প্রক্রিয়াটা ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে।
যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় সোমবারই খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃত অনামিকা মণ্ডলের পরিবার। সেই তদন্তের নিরিখে মঙ্গলবার যাদবপুরের ক্যাম্পাসে আসে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন খোদ কলকাতা পুলিশের অপরাধ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রূপেশ কুমার। এদিকে জল্পনা বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য। যাদবপুরের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের যাতায়াত নিয়ে তরজা ছিলই, এবার সেই আগুনে ঘি ঢালল নিরাপত্তারক্ষীর দাবি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে একটি মেয়ে ছাত্রদের অনামিকার জলে পড়ে যাওয়ার খবর দিতে আসে, যাকে তিনি কোনওদিনই দেখেননি। নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, অনামিকার জলে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তাঁরা যখন ঘটনাস্থলে যান, তখন দেখেন, সেখানে আর অন্য কেউ ছিলেন না। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কে সেই মেয়ে ? যিনি অনামিকাকে পড়ে যেতে দেখেন। তিনি কি অনামিকার সঙ্গেই ছিলেন ? উঠছে প্রশ্ন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যুর পর কেটে গেছে পাঁচ দিন। এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি কীভাবে মৃত্যু হল বছর একুশের মেয়েটার? এই প্রেক্ষাপটেই জল্পনা বাড়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তারক্ষী অর্জুন দের বক্তব্য। ১১ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। কম-বেশি সব পড়ুয়ারই মুখ চেনা। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে একটি মেয়ে ছাত্রদের খবর দিতে আসে। যাকে তিনি চিনতেন না। তিনি জানান, ওই 'অপরিচিত' মেয়েটিই ছেলেদের খবর দিতে আসে। তারপর অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।