কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে নম্বর বিভ্রাট। নম্বরে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষায় নম্বর গরমিলের অভিযোগ উঠছে। খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন প্রায় ৫০ পড়ুয়া। সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপকের ইস্তফার দাবি তুলছেন পড়ুয়াদের একাংশ। সেই মর্মে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে ফের প্রকাশিত হবে রেজাল্ট। (Jadavpur University)
নম্বরে গরমিল নিয়ে এদিন বিশ্ববিদ্য়ালয়ে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন তাঁরা। স্লোগান ওঠে, "মানছি না মানব না। ফলপ্রকাশে দুর্নীতি হচ্ছে কেন, কর্তৃপক্ষ জবাব দাও। জবাব দাও, জবাব চাই।" কিছু খাতা দেখাই হয়নি, গড়ে নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা থাকবে না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন করে খাতা দেখে ফলাফল প্রকাশের কথা জানালেও, পড়ুয়াদের প্রশ্ন, এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে কেন তাঁদের? এদিন এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। (JU Exam Row)
পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে একজন সংবাদমাধ্যমে বলেন, "ফার্স্ট ইয়ারের সেকেন্ড সেমেস্টারের একটা পেপার, মিডিয়া, ল অ্যান্ড এথিক্সের। আমাদের পড়াতেন একজন গেস্ট লেকচারার। কিন্তু আমরা যতটা শুনেছি, খাতা দেখেছেন আমাদের ফ্যাকাল্টিরই এক সদস্য। কাল অভিযোগ সামনে আসে যএ, আমাদের ৫০টি মতো খাতা প্রায় দেখাই হয়নি। খাতাগুলি সরাসরি পরীক্ষা বিভাগে চলে যায় এবং গড়ে নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়। এই জিনিসটা নিয়ে আগেই সন্দেহ হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এমন অনিয়ম হয়, স্বচ্ছতাই যদি না থাকে, তাহলে পরীক্ষা দেওয়ার মানে হয় না। আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পার্থসারতি চক্রবর্তী পড়ুয়াদের অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন সংবাদমাধ্যমে। তাঁর বক্তব্য, "এভাবে তো দুর্নীতি বলা যায় না! নম্বর হয়ত কম-বেশি হয়েছে। তার ভিত্তিতে গোটা প্রক্রিয়াটাই আবার শুরু করা হচ্ছে। নতুন করে খাতা দেখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছে। শুক্রবারের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি। পুনর্মূল্যায়ন করে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।" কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন নম্বর নিয়ে এমন বিভ্রাট হবে? প্রশ্ন তুলছেন পড়ুয়ারাই। এদিন অভস্থান বিক্ষোভও করেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।