কলকাতা : যাদবপুরকাণ্ডে ইউজিসি-কে প্রথম পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১২টি প্রশ্নের জবাবে ৩১টি ফাইল পাঠানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর দাবি, রিপোর্টে ব়্যাগিং-রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা বলা হয়েছে। 


রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন পড়ুয়াদের ওরিয়েন্টেশন হয়েছিল। অ্যান্টি-র‍্যাগিং সংক্রান্ত পোস্টারও দেওয়া হয়। কোনও সমস্যায় পড়লে কথা বলার জন্য দেওয়া হয়েছিল ফোন নম্বর। অ্যান্টি-র‍্যাগিং-সহ যাবতীয় সার্কুলার বা নির্দেশিকার তালিকা দেওয়া হয়েছে ইউজিসি-কে। মৃত ছাত্র হস্টেলের আবাসিক না হওয়ায়, তাকে নিয়ে হস্টেল সংক্রান্ত ডিক্লারেশন দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে ইউজিসি-কে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর সূত্রের। 


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) পড়ুয়া মৃত্যুর পর অবশেষে ঘুম ভেঙেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। গতকাল রাতে হস্টেল পরিদর্শন করে অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি (Anti Ragging Committee) ও আধিকারিকরা। A-1 এবং A-2 ব্লকে গিয়ে পড়ুয়াদের কী অসুবিধা জানতে চাওয়া হয়। বিশেষভাবে খোঁজ নেওয়া হয়, হস্টেলে আর কোনও প্রাক্তনী আছেন কি না, সে সম্পর্কে। 


হস্টেল সুপাররা জানান, অনেক বোর্ডারই চলে গিয়েছেন আতঙ্কে। যাঁরা হস্টেল ছেড়েছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টার পর হস্টেল থেকে বেরোলে রেজিস্টারে নাম লিখে রাখার নির্দেশ দিয়েছে অ্যান্টি-র‍্যাগিং কমিটি। বাইরে থেকে হস্টেলে ঢোকার সময়ও রেজিস্টারে লিখতে হবে নাম। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা মহলের একাংশ মনে করছে, পড়ুয়া মৃত্যুর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তৎপরতা দেখালে বাঁচত অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণ। 


গতকালও দেখা গেছে, বদলায়নি ছবিটা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল সংলগ্ন পুকুরে পাওয়া যায় গুচ্ছ গুচ্ছ মদের বোতল। প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই নৈরাজ্য়ের ছবি কি এতদিন দেখেও দেখেনি কর্তৃপক্ষ ? যাদবপুর নাকি 'মাদক পুর'? এখনও কি অবাধে বসছে নেশার আসর ? শুক্রবারও সেই ছবি ধরা পড়ে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায়।


যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হচ্ছে। সবাই চাইছে সুস্থ ক্যাম্পাস ! ভিতরে ভয়ঙ্কর সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করছে পুলিশ। ঠিক তখনই দেখা গেল এই ছবি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেল। এই হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। সেই হস্টেলের কম্পাউন্ডের ভিতরে থাকা পুকুরের যততত্র-সর্বত্র এখনও পড়ে রয়েছে মদের বোতল।