ভুবনেশ্বর: এশিয়ান গেমসে দুবার রুপো জিতেছিলেন। দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। কিন্তু আচমকাই তাঁর জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থা নাডা (NADA)। এই ঘটনার পরই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য় চাইছেন ভারতের দ্রুততম মহিলা স্প্রিন্টার। এক সাক্ষাৎকারে দ্য়ুতি বলেন, ''আমি গতকাল সকালে এই খবরটি পেয়েছিলাম। যে কেসটি করেছিলাম সেটাতে আমি হেরে গিয়েছিলাম এরপরই নাডার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমি সত্য়িই খুব হতাশ। এর আগেও এমন ডোপ পরীক্ষা অনেকবার দিয়েছিলাম। কিন্তু কখনওই ব্যর্থ হইনি। এরকমটা কখনও হয়নি। আমি রাজ্য, কেন্দ্র ও নাডার কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাকে সাহায্য় করার জন্য। যাতে আমি দেশের জার্সিতে ফের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যেন ফের নামতে পারি।''
দ্যুতি আরো বলেন, ''আমি খুবই ভয়ে আছি। এমআরআই স্ক্যান করেছিলাম। চিকিৎক বলেছিলেন যে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষ্মণ ধরা পড়েছে। ব্যথা কমানোর জন্য ওষুধ খেতাব আমি। আমি জানতাম না যে ডোপিংয়ের আওতায় পড়বে তা। দেশের জন্য খেলি আমি। দেশকে গর্বিত করার জন্য কঠাের পরিশ্রমও করি। আমি স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ও সরকারের কাছে অনুরোধ করব যে যাতে আমাকে তারা সাহায্য় করে। দেশের হয়ে খেলার যাতে সুযোগ পাই। আমি চেষ্টা করব ২০২৪ অলিম্পিক্সে যাতে যোগ্যতা অর্জন করতে পারি।''
১০০ মিটার দৌড়ে ২৭ বছরের অ্যাথলিটের ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় রেকর্ড। দ্যুতির আইনজীবী পার্থ গোস্বামী সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'অনিচ্ছাকৃতভাবে নিষিদ্ধ ওষুধ খেয়েছিলেন দ্যুতি। শরীরে কীভাবে সেই নিষিদ্ধ উপাদান এল, তা নিশ্চিত করতে পেরেছি আমরা। কোনও সুবিধা পাওয়ার জন্য এই ওষুধ সেবন করা হয়নি। আমরা এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করছি।'
ভারতের দ্রুততম মহিলা স্প্রিন্টার ডোপ টেস্টে (Dope Test) ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হলেন ৪ বছরের জন্য। ২০২১ সালে ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রি-তে ১০০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে মাত্র ১১.১৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন দ্যুতি। যা জাতীয় রেকর্ড এখনও পর্যন্ত। এই নির্বাসনের মেয়াদ শুরু হচ্ছে চলতি বছর ৩ জানুয়ারি থেকে। আগামী ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্বাসনের মেয়াদ বহাল থাকবে।
২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখানেই নিষিদ্ধ ওষুধের মাত্রা পাওয়া গিয়েছে। ফলে সেদিনের পর থেকে যে যে সাফল্য পেয়েছেন দ্যুতি। বা যা যা পদক জিতেছেন, কোনও কিছুই আর বিবেচ্য হবে না। ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির ২.১ ও ২.২ বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য দ্যুতিকে নির্বাসিত করা হয়েছে। অ্যাপিল জানানোর জন্য হাতে ২১ দিন সময় রয়েছে দ্যুতির।