কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, দীপক ঘোষ, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া ( Recruitment Scam ) এবার কি স্কুলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও ( University Recruitment ) ? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( Jadavpur University ) পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরও, আচমকা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরেই জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্ন। স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতি।

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ ( Partha Chatterjee ) শিক্ষা জগতের একদা দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের জেলে যাওয়ার আবহে এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে বিভিন্ন মহলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ডিসেম্বরে  এবং  গ্রুপ ডি’র জন্য ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ১১৬টি শূন্যপদের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৩৫ হাজার প্রার্থী। রেজাল্টও তৈরি হয়ে গেছিল।


কিন্তু, সেই পর্যায়ে আচমকাই, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটা বাতিল করে দেওয়া হয়! সেপ্টেম্বরে কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, ' ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়োগ বাতিলের। অনেক কিছু সমস্যা হয়েছিল। ইসিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে' 


কিন্তু, পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরও আচমকা গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হল কেন? কী এমন সমস্যা দেখা দিল, যে হয়ে যাওয়া পরীক্ষা বাতিল করে দিতে হল? কেন কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়েই পরীক্ষা বাতিল করা হল কেন? এরকমই নানা প্রশ্ন তুলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে যাদবপুরের অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা। তাদের দাবি, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার তালিকা তৈরি করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী!





জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, ' এই নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রী ও শাসক দলের নেতারা তালিকা তৈরি করেছিলেন। যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি। তাই বাতিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তা ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কন্ট্রোল করতেন' 


স্কুলের নিয়োগ-দুর্নীতির ক্ষেত্রে, যোগ্যদের বঞ্চিত করে, বিপুল টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাহলে কি দেশের অন্যতম প্রথম সারির অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুরেও সেরকম কিছুরই পরিকল্পনা হয়েছিল? স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পরই কি, তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? বিভিন্ন মহলে জোরাল হচ্ছে এইসব প্রশ্ন।