বেজিং: 'কবরের প্রহরী' (grave keeper)! নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এভাবেই নিজের পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। কেন? আসলে চাকরির জায়গাটি কোনও কর্পোরেট সংস্থা বা সরকারি দফতর নয়। কবরস্থান। 'ওয়ার্ক-লাইফ' ভারসাম্য (balance) খুঁজে পেতে কবরস্থানেই (cemetery) চাকরি (job) নিয়েছেন চিনের (chinese) এক তরুণী (woman)। তার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতেই হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন জায়গায় কেউ ভালোবেসে চাকরি করতে যান?

'শান্তির জায়গা'...
চিনের এক সংবাদপত্র ওই তরুণীকে নিয়ে খবর করার পর বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। তাঁর পদবীটুকুই ব্যবহার করা হয়েছিল প্রতিবেদনে। আপাতত সেই পদবী ধরেই বিখ্যাত 'মিস ট্য়ান'। ২২ বছরের তরুণী নিজের নিরিবিলি কর্মস্থলের ছবি পোস্ট করেছিলেন চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায়। পশ্চিম চিনের চঙ্গকিং মিউনিসিপালিটির ওই কবরস্থানটি পাহাড়ি এলাকায়। তার ভিডিও ও ছবির সঙ্গে তরুণী লেখেন, 'জেন জেডের এক কবরের প্রহরীর কর্মস্থল দেখাই আপনাদের। সহজ ও সাদামাটা কাজ।' কেউ তড়িঘড়ি অবসর নেওয়ার পর যে জীবন 'উপভোগ' করেন, তাঁর কাজের সঙ্গে সেই জীবনের মিল পান 'মিস ট্য়ান'। তাঁর মতে, এই কাজে অনেকটা অবসর কাটানোর ফুরসত রয়েছে, প্রাকৃতিক-সৌন্দর্যও উপভোগকরা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, অফিসের চিরন্তন কূটকাচালি এখানে নেই। যাওয়া-আসার ধকল নিতে লাগে না। এটাও উপরি পাওনা তরুণীর কাছে। তাঁর কথায়, 'যেহেতু আমি এখানে কাজ করি, তাই নিজেকে মজা করে কবরের প্রহরী বলি।' সপ্তাহে ছদিন কাজ করেন তিনি। সকাল সাড়ে আটটা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। মাঝখানে ঘণ্টাদুয়েক বিরতি। মাসে ৪ হাজার ইউয়ান রোজগার তাঁর। ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ৪৫ হাজার টাকার বেশি। 


চিন্তিত নেটিজেনরা...
মিস ট্যানের ভাবনায় চিন্তিত নেটিজেনদের অনেকে। একজন লেখেন, 'আগেকার দিনে এই ধরনের চাকরিকে অশুভ বলে মনে করা হত। কিন্তু এখনকার মানুষের কাছে এটাই শান্তির জায়গা।' আর এক জন আবার লেখেন, 'আমিও এই কাজটা পছন্দ করতাম। কোনও মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলার ব্যাপার নেই। অফিসের কূটকাচালি নেই।' তরুণীর অবশ্য স্পষ্ট যুক্তি, 'এটি একেবারে সাধারণ চাকরি। সাধারণ বলেই এই কাজটি করছি। এই মুহূর্তে আমি সন্তুষ্ট। আপাতত এই চাকরিই করব।' 
তিনি যতই সন্তুষ্ট হোন, নেটিজেনদের মধ্য়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে। শান্তির খোঁজে কবরস্থানে চাকরি? ২২ বছরের তরুণীর হল কী? বিষয়টি আদৌ কতটা বাস্তবসম্মত? আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে দুরন্ত গতিতে। ভাইরাল মিস ট্য়ানের গল্পও।


আরও পড়ুন:'তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ', ফের বিস্ফোরক মিঠুন