কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় (Jadavpur University Student Death) আতসকাচের তলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও। এবার লালবাজারে তলব করা হল ডিন অফ অফ স্টুডেন্টস রজত রায় ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ কর্তাকে তলব


জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ৩টের সময় তাঁদেরকে তলব করা হয়েছে। ইউজিসি-র নির্দেশিকায় থাকলেও হস্টেল ও ক্যাম্পাসে কেন নেই সিসি ক্যামেরা? মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন, এই অনিয়মে কেন উদাসীন ছিল কর্তৃপক্ষ? বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল কি বিনা পয়সার গেস্ট হাউস? বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কেন নেই কড়াকড়ি?  বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।


যাদবপুরকাণ্ডে বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে গ্রেফতার আরও ৬ জন


যাদবপুরকাণ্ডে বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে গ্রেফতার আরও ৬ জন। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন বর্তমান ও ৩ জন প্রাক্তন পড়ুয়া। ঘটনার পরই হস্টেল ছেড়েছিলেন ধৃতরা।  বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।সূত্র মারফত খবর,'ঘটনার পর থেকে পুলিশি জেরায় একই বয়ান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা', পড়ুয়াদের একই ধরনের বয়ান দিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন ধৃতরা। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে ৯।


তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ


যাদবপুরকাণ্ডে, হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের।  


বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন


প্রসঙ্গত, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'


আরও পড়ুন, 'অমিত শাহর ছেলে কী করছে ?..', 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ ফিরহাদ,অধীর ও বিমানের


আজ ফের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি


যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে পদক্ষেপ করতে এরপরেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) আচার্য করার বিল পাস হলেও, এখনও তাতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। যে কারণে এখনও পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তিনিই (JU Student Death)।  তাই তাঁকেই চিঠি পাঠায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। শিশু কমিশনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যপালকে রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর পর দায় কার? আজ ফের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের জরুরি বৈঠক ডাকলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।