পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ঘটনার দিন রাতে কী ঘটেছিল মেন হস্টেলে? গেটে কে তালা লাগিয়েছিলেন? কাদের নির্দেশে তালা লাগানো হয়েছিল?  জানিয়েছেন ওইদিন রাতে মেন হস্টেলের নিরাপত্তা রক্ষী। সেদিন সেই সময় গেটে তালা লাগানোর পর তিনি খেতে বসেছিলেন সবে ... তখনই ছুটে আসে একাধিক পড়ুয়া। তারপর ? (Jadavpur University student death) 


হস্টেলের (JU Hostel)  নিরাপত্তা রক্ষী জানালেন, সেদিন তিনি যখন খাচ্ছিলেন, কিছু ছেলে এসে বলে, গেটটা খুলে দিন, একটা বাচ্চা পড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তিনি গিয়ে গেট খুলে দেন। তখন তিনি দেখতে পান, সেখানো জড়ো হয়েছে প্রচুর ছাত্র। হুড়োহুড়ি করছে। কেউ ঢুকছে, কেউ বেরোচ্ছে। তারা এসে বলে, নজর রাখুন, বাইরে থেকে কেউ যেন এখানে ঢুকতে না পারে ! তিনি তখন হাত ধুয়ে এসে গেটের কাছে দাঁড়ান। তারপর একটি অটো ও একটি হলুদ ট্যাক্সি, গেটের কাছে এসে দাঁড়ায়। ওরা সম্ভবত যাদবপুর থানার (Jadavpur police station) কাছ থেকে অটো ও ট্যাক্সি ডেকে আনে। এর কিছুক্ষণেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে। কিন্তু ততক্ষণে, হস্টেলের উপর থেকে পড়ে যাওয়া ছাত্রকে নিয়ে চলে গিয়েছে ছেলেরা। এরপর হস্টেলের সুপার দ্বৈপায়ন দত্ত তাঁকে গেট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর কথা মতো তালা দিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় ছাত্ররা দলে দলে এসে বলতে থাকে, যেন গেট ছেড়ে না চান নিরাপত্তাকর্মীরা। এরপর পুলিশকর্মীরা গেটের সামনে আসেন কিন্তু তাঁরাও গেট খুলে দিতে বলেননি।  কিন্তু কী ঘটে গিয়েছে তখনও বুঝতে পারেননি হস্টেলের নিরাপত্তা রক্ষী। (JU Student Death) 



অন্যদিকে, যাদপুরের ছাত্র-মৃত্যুর তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। পড়ুয়ার মৃত্যুর পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ বার জিবি বৈঠক হয়েছিল।  নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তনীরা। বুধবার,রাত পৌঁনে ১২টা নাগাদ পড়ে যায় ওই পড়ুয়া। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুরের কেপিসি ডিক্যাল কলেজে। পরের দিন সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার, মৃতের বাবার বয়ানের ভিত্তিতে রুজু হয় FIR। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় হস্টেলের পড়ুয়াদের। অর্থাৎ, ছাত্র-মৃত্যুর পর ২৪ ঘণ্টারও কাছাকাছি সময় ছিল যে সময়টা পুলিশ অধিকারিকরা হস্টেলে গিয়ে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। সূত্রের দাবি,এই সময়ের মধ্যে ৪ বার জেনারেল বডির মিটিং হয়েছে হস্টেলে। আর এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা যারা এই হস্টেলেই থাকতেন।