কলকাতা : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Jadavpur University ) প্রথম বর্ষের ছাত্রর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু। যোগ করা হল সম্মিলিত অপরাধের ধারাও। চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। হস্টেলে থাকা কোনও সহপাঠীর বিরুদ্ধে ছেলেকে উত্যক্ত করার অভিযোগ পরিবারের। এর মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) ও ব্রাত্য় বসুর ( Bratya Basu ) ।
এই মৃত্যুতে সরাসরি প্রশাসনকে ধিক্কার দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি তাঁর X-অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'প্রশাসনিক মদত ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিএমসিপি, এসএফআই-এর মতো ছাত্র সংগঠনগুলো র্যাগিং চালাতে পারে না। স্বপ্নদীপকে নিজের প্রাণ দিয়ে তার মূল্য দিতে হল, এই মৃত্য়ুর দায় প্রশাসনের, ধিক্কার রাজ্য সরকার।', সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।
পাল্টা জবাব দিয়েছেন ব্রাত্য বসুও। 'বিজেপি এখন রাজ্য়ের প্রত্য়েকটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাতেই রাজ্য সরকারের দোষ খুঁজে পায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তো রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে! তাহলে এটা তো তাঁরই ব্য়র্থতা!' সোশাল মিডিয়ায় পাল্টা আক্রমণ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যোগ করা হয়েছে সম্মিলিত অপরাধের ধারা।
এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও বহিরাগতদের হস্টেলে না ঢুকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম বর্ষের স্নাতকস্তরে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ক্যাম্পাসের ভিতরে নিউ বয়েজ হস্টেলে স্থানান্তরিত হতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। ৭ অধ্যাপক, ১ চিকিৎসক, ৩ পড়ুয়া প্রতিনিধিকে নিয়ে ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত বাব-মাকে বার বার ফোন করেন স্বপ্নদীপ। জানিয়েছিলেন, তিনি ভাল নেই। খুব ভয় করছে। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি ওই পড়ুয়াকে। তারপর জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন স্বপ্নদীপ। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয় কেপিসি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন :