সত্যজিৎ বৈদ্য ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) এবার নজরে ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদার। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর থেকেই 'বেপাত্তা' ছিলেন যিনি। প্রকাশ্যে আসার পরই যাদবপুর থানায় ডেকে ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যাদবপুরের বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ 'আলু' তথা অরিত্র মজুমদারের সঙ্গে অপর ছাত্রনেতা গৌরব দাস এদিন সন্ধে  সাড়ে ৭ টা নাগাদ যাদবপুর থানায় পৌঁছন।


ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন অরিত্র ? জানতে চায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডে আগেই থানায় তলব করা হয়েছিল। যাদবপুর থানায় রয়েছেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো জারি রয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর পর সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল চ্যাটে নাম ছিল এই অরিত্রর। যেখানে ছাত্রটি পড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট কয়েকজনকে বাঁচাতে জিবি মিটিং ডাকার উল্লেখ ছিল। ভাইরাল হওয়া ওই চ্য়াটে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু-র নামের উল্লেখ ছিল। 


বুধবার অরিত্র মজুমদারকে তলব করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার সকালেই যাদবপুরকাণ্ডে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন এই ছাত্রনেতা।  DSF-এর প্রভাবশালী নেতা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ফেটসু-র (FETSU) সদ্য় প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান অরিত্র মজুমদার। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


এদিকে ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা থাকার পর মঙ্গলবারই একটি ফেসবুক পোস্টে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষনারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার (Aritra Mazumdar) লেখেন, 'না, কেউই সরাসরি ছেলেটির ওপরে ঘটা র‍্যাগিং বা নির্যাতনের সঙ্গে আমার নাম জড়াননি। বা জড়ালেও অন্তত আমার গোচরে আসেনি। কিন্তু, একাধিক ব্যক্তির দাবি, আমি নাকি ওইদিন যাদবপুর মেন হোস্টেলে উপস্থিত ছিলাম। এবং, আমার উপস্থিতিতে মৃত্যু-পরবর্তী প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।'


ফেসবুক পোস্টে এই ছাত্র নেতা দাবি করেছেন, ৯ আগস্ট রাতে তিনি যাদবপুরের মেন হস্টেলে ঢোকেননি। ১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়াদিল্লির উদ্দেশ‍্যে রওনা হয়েছিলেন। সেখান থেকে পরের দিন শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ধরেন। কিন্তু, অরিত্র মজুমদার ১০ অগাস্ট কলকাতা ছাড়ার কথা বললেও, SFI আবার এই রেজিস্টার কপির ছবি সামনে এনে দাবি করেছে, ১১ তারিখও ল্যাবে উপস্থিত ছিলেন অরিত্র। তাই গোটা ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে প্রায় ৪ দশক ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ‘ফেটসু’ ডিএসএফের দখলে। সেই ছাত্র সংসদের চেয়ারপার্সন ছিলেন অরিত্র। পড়ুয়া মৃত্যুর পর আচমকা চেয়ারপার্সন পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তড়িঘড়ি অরিত্রর এই পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।


আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর বিসর্জন করা যাবে কোন দিনগুলোতে, কবে কার্নিভাল, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial