রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: তিস্তা ক্যানেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গাজলডোবা ফুলবাড়ি তিস্তা ক্যানেলে তলিয়ে গেল একটি আস্ত চারচাকা গাড়ি। যদিও কোনও রকমে গাড়ির কাচ ভেঙে বেরিয়ে এসে নিজেদের প্রাণে বাঁচলেন চারজন।
রাজগঞ্জ ব্লকের শিবনাথ পাড়া ফুলবাড়ি আমবাড়ি তিস্তা ক্যানেলে আজ ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তা ক্যানেলে পড়ে যায় আস্ত চারচাকা গাড়িটি। গাড়ির ভিতরে থাকা চারজনই কাচ ভেঙে বেরিয়ে এসে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পারেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ওই স্থানে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশকে। আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর গাড়ি থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন ভিতরের লোকজনেদের। সামান্য আহত হয়েছেন দু'জন। গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি জানান, ক্রান্তি থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার সময় হঠাৎ করে ক্যানেলে উল্টে যায় গাড়িটি। গাড়ির ভিতরে থাকা সমস্ত মানুষই তখন ঘুমের মধ্যে ছিলেন। বিশেষ কাজে ক্রান্তি থেকে শিলিগুড়ি যাওয়া হচ্ছিল। গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে চারজনে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Chhattisgarh CRPF Firing: ছত্তীসগঢ়ে সিআরপিএফ ক্যাম্পে সহকর্মীর গুলিতে নিহত বাংলার জওয়ান
অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত গোবড়ার মোড়ের কাছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ২২ বছর বয়সি প্রীতম খামারু গতকাল অর্থাৎ শনিবার নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন। কিন্তু গোবড়ার মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকেলটি নিয়ে প্রীতম বৈদ্যুতিন স্তম্ভে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। পথচলতি মানুষ ও আশেপাশের লোক জনেরা প্রীতম কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তারেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রীতমের বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত গাববেড়িয়ার খিরিজতলায়। শ্বশুর বাড়িও সংশ্লিষ্ট থানা এলাকারই গাববেড়িয়ার হরির দোকানের কাছে।
এদিকে শনিবারই, শহরে সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্কুটার আরোহীর। সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গড়িয়া স্টেশন থেকে বাগবাজারগামী বেসরকারি বাসটি বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় স্কুটারে ধাক্কা মারে। রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় স্কুটার আরোহীকে পিষে দিয়ে চলে যায় বাস। জানা গেছে, খুবই দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। স্কুটার আরোহীকে ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি পড়ে যান। এরপর যাত্রীরা বাস থামাতে বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি চালক। যাত্রীদের অভিযোগ, চলন্ত বাস লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে পালান চালক ও কনডাক্টর। এক যাত্রী শেষে চলন্ত বাসটিকে থামান। ফলে কোনওক্রমে রেহাই পান যাত্রীরা। পরে কনডাক্টরকে আটক করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। বাসের কয়েকজন যাত্রীও আহত হন। ওই স্কুটার আরোহীকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন ও ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।