প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: সদ্য ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসেছিলেন সিআরপিএফের (CRPF) ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) সুখমায়, ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত রাজীব মন্ডল (Rajib Mandal))। প্রায় এক মাস আগে বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ফের কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু নিয়তির এমন ফের, এবারেও বাড়ি ফিরবেন, তবে নিথর শরীরে। ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় (Sukma) সিআরপিএফ ক্যাম্পে সহকর্মী জওয়ানের গুলিতে মৃত ৩২ বছর বয়সি রাজীবের মৃত্যুর খবর পেতেই শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। 


বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং দুই ভাইকে নিয়ে সংসারে যেন বজ্রাঘাত। ২০১০ সালে সিআরপিএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন রাজীব। প্রথম পোস্টিংই ছিল কাশ্মীরে। যে কাশ্মীরে সিআরপিএফ-জঙ্গি লড়াই লেগেই থাকত। কিন্তু প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি সেখানে। কিন্তু সহকর্মীর গুলিতে এভাবে প্রাণ হারানো যেন কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না। এক মাস আগে ছুটি কাটিয়ে কাজে ফেরার ছেলের আজীবন ছুটিতে শোক ভীড় করেছে মন্ডল পরিবারে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই আজ সকাল থেকেই রাজীব মণ্ডলের বাড়িতে শোকের আবহ। প্রসঙ্গত, সকালে রাজীবের দাদার কাছে ফোন আসে, তাঁকে জানানো হয়, গুলি চালাতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন তাঁর ভাই। তারপর থেকেই বাড়িতে এলাকার মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে।


আরও পড়ুন, নোটবাতিলের পাঁচ বছর পরও বেড়েই চলেছে নগদের পরিমাণ 



ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে জওয়ানের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের চার জওয়ান।গুলিতে জখম আরও ৩ জন জওয়ান। এই ঘটনায় সুকমার মারাইগুড়া থানা এলাকায় লিঙ্গমপল্লি ক্যাম্পে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) ক্যাম্পে এক জওয়ান তাঁর সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। রাজ্যের বস্তার অঞ্চলের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি আজ বলেছেন যে, জেলার লিঙ্গমপল্লি গ্রামে সিআরপিএফের ৫০ তম ব্যাটেলিয়নের শিবিরে এক জওয়ান তাঁর সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় চার জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও তিন জন। এই চার জওয়ানের মধ্যে একজন হলেন রাজীব মন্ডল। 


সুন্দররাজ বলেছেন, পুলিশের কাছে খবর এসেছে যে, আজ ভোর সাড়ে তিনটি নাগাদ জওয়ানদের নিজেদের মধ্যে বচসার মধ্যেই এক জওয়ান একে-৪৭ রাইফেল থেকে সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জওয়ানের।