রাজা চট্টোপাধ্যায়,জলপাইগুড়ি : দুর্গাপুজোয় বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস। করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে পুজোর আনন্দে সামিল হওয়ার ফল মিলেছে হাতেনাতে। রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ! দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও লাগাতার বাড়ছে সংক্রমণ। 


জলপাইগুড়িতে প্রতিদিনই প্রায় জনা পনেরো মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। তারপরেও হুঁশ ফিরছে না জেলাবাসীর। মাস্ক না পরে, দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে রাস্তায় বেরনো, বাজারহাট করা চলছেই!
সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৩, ৬, ৭, ১১, এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। 

সামনেই কালীপুজো, ছটপুজো। ফলে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় প্রমাদ গুণছে প্রশাসন।  সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে সচেতনতা প্রচার। 

আরও পড়ুন :


দিনহাটায় ভোট ব্যবধানের রেকর্ড তৃণমূলের, জয়ী উদয়ন গুহ



জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সন্দীপ মাহাতো জানান, ' গত ২৪ তারিখ আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে পাঁচটি ওয়ার্ডের লিস্ট পাঠিয়েছিলাম মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করবার জন্য। কারণ দেখা যাচ্ছে এই এলাকা গুলোতে কোভিড সংক্রমণটা বেশি পুজোর পর থেকে। গড়ে পাঁচ থেকে ছটা করে কেস পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন রাস্তায় নেমে প্রচার করছে। আমরাও অভিযান করছি। '


আলোর উৎসবকে যাতে করোনার অন্ধকার গ্রাস না করে তার জন্য জেলার মানুষকে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকও। 


উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত রায় জানান, ' দুর্গাপুজোতে বারবার বলা হয়েছিলো নিয়ম মানতে, অনেকে শুনেছেন, যারা শোনেননি তারা বিপদে আছেন। বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গন যেটা এখন কোভিড হাসপাতাল, সেটা আর কতদিন আটকে রাখবো? ধুপগুড়ি গার্লস হাইস্কুলকে সেফ হোম করা হয়েছে।কিন্তু ওখানে কলেজ শুরু হতে চলেছে, এগুলোকে তো ছাড়তে হবে। এখনও মানুষকে একটাই বার্তা দেব, কালী পুজো ছট পুজো আসছে দয়া করে সচেতন হোন।' 


বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও করোনা বিধি না মানায় জলপাইগুড়িতে চলছে ধরপাকড়। কিন্তু শুধু কড়া পদক্ষেপ নয়, করোনাকে বাগে আনতে সচেতন থাকতে হবে সবাইকেই। মনে করছে প্রশাসন।