রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: একেবারে যেন রবিনসন স্ট্রিটের (Rabinson street) ঘটনা।  তবে এখানে গল্পটা একটু অন্যরকম। নিজেই বাড়ির কর্তাকে খুন (Murder) করে সেই মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ উঠল মেয়ে ও মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। 


ঠিক কী ঘটনা হয়েছিল?


তিনদিন থেকে বাবার মৃতদেহ আগলে রাখার অভিযোগ উঠল বাড়ির মেয়ে ও মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে কোতয়ালি থানার পুলিশ এসে বাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করে। এরপরই অভিযুক্ত মেয়ে ও স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে মৃত অজিত কর্মকারের বোন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাড়ির কর্তার সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী-র। নানা সময় প্রতিবেশীরা সেই বাড়ি থেকে ঝামেলা হওয়ার আঁচও পেতেন। কিন্তু এতটা নির্মম পরিণতি হবে, তা কেউই আন্দাজ করতে পারেনি।


জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অজিত কর্মকার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ছিলেন তিনি। অভিযোগ অজিত বাবুর মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার, স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার অজিত বাবুকে মেরে তাঁর মৃতদেহ তিনদিন ধরে আগলে রেখেছিল বলে অভিযোগ। তদন্তে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।


কিছুদিন আগে এমনই ঘটনার সাক্ষী ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর।  মৃত দিদিমার দেহ আগলে বসবাস করছিলেন তাঁর নাতনি। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা রানী ঝাঁর স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। এক মেয়ে ও তাঁর স্বামীও অনেক দিন আগে মারা গেছেন। এক ছেলে থাকলেও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। এদিকে সন্ধ্যা রানী দেবীর নাতনি রানী চৌধুরী মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁকে নিয়েই কোনও রকমে বাস করতেন তিনি। বয়সের কারণে বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সন্ধ্যা রানী। নাতনিকে নিয়েই থাকতেন। অভাব-অনটন থাকায় নাতনির চিকিৎসা করাতে পারেননি। মহিলাকে দেখতে না পাওয়ায়, স্থানীয়রা বৃদ্ধার বাড়ি যান। তখনই নজরে আসে বৃদ্ধার দেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। দেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আর তার পাশেই বসে আছে তাঁর নাতনি। স্মৃতিদেবীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মারা যাওয়ায় তিন দিনে শরীরে পচন ধরেছিল। যার ফলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এদিকে ওই বৃদ্ধার নাতনি মৃতদেহের সঙ্গেই দিন কাটায়। এমনকী দু'দিন ধরেই অভুক্ত অবস্থায় ছিল সে। বিষয়টি নজরে আসার পরে ওই মানসিকভাবে অসুস্থ নাবালিকাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন প্রতিবেশীরা।