রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় ডেঙ্গির দাপট চলছেই। দুটি ব্লকে আরও তিনজন ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এখন শতাধিক।
জলপাইগুড়ির বাগরোকোট চা বাগান এলাকায় ক্রমেই ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গতকাল রাত পর্যন্ত ২১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। গতকাল রাতেই নতুন করে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় ৮টি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৯১। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গতকাল থেকে মশা মারতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সচেতনতা প্রচারে হয়েছে পদযাত্রা। এলাকায় রয়েছে স্বাস্থ্য শিবিরও।
জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় বাড়ল ডেঙ্গির প্রকোপ! আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মালবাজারের (Malbazar) পর ধূপগুড়ি (Dhupguri) ও বানারহাট (Banarhat) ব্লকেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্তদের মধ্যে একজন বানারহাটের কাঁঠালগুড়ি চা বাগানের বাসিন্দা। ধূপগুড়ির কালীরহাট এলাকার সাড়ে ৪ বছরের এক শিশুও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গাদং ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।
ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত শিশুর মা সোনালি রায়ের কথায়, ২৬ তারিখ ধরা পড়ে। কাল হাসপাতাল ভর্তি করেছি। ৪ বছর ৩ মাস বয়স। ডাক্তার বলেছে চিন্তা না করতে। এখন একটু ভাল আছে।
ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের (Dhupguri Hospital) চিকিৎসক প্রণয় দাস বলছেন, ডেঙ্গিত অনেকেই ভর্তি হয়েছে। একজন শিশুও আছে তার মধ্যে। এটা একটা ভয়াবহ রোগ। চিকিৎসা চলছে। মূলত চাবাগানের বাসিন্দা। ২৪ ঘণ্টা মশারির নীচে রাখা হয়েছে।
দু’সপ্তাহ আগে মালবাজারের বাগরাকোট চা-বাগানে ৫৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। এবার বানারহাটের কাঁঠালগুঁড়ি চা বাগানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মেলায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে রবিবার সকালে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে যান জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য বলছেন, ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। তা জানতে পেরে এলাম। ডাক্তারবাবুর সঙ্গে কথা বললাম। পরিবারের লোকেদের রক্ত পরীক্ষার জন্য বলেছি। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের দাপট বাড়ছে কোচবিহার (Coochbehar), আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), ও দার্জিলিঙে (Darjeeling)।