রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের উত্তরবঙ্গে পূর্ণ বয়স্ক হাতির মৃত্যু। ধূপগুড়ির বেগুন খেত থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করল বন দফতর। চাষের জমিতে লাগানো তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু উত্তর খুঁজছে বন দফতর। 


বেগুন খেতের মধ্যে পড়ে গজরাজ। প্রকাণ্ড কালো শরীরটা নিথর, নিশ্চুপ। উত্তরবঙ্গে ফের পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে বন দফতরের ভূমিকা। 
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের খুট্টিমারি ভাণ্ডারকুরা গ্রাম। শনিবার এখানেই বেগুন খেতের মধ্যে হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। 


খবর পেয়ে বন দফতরের বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের কর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে ছিল বানারহাট থানার পুলিশ। বন আধিকারিকদের অনুমান, পাশের মরাঘাট জঙ্গল থেকে বেগুন খেতে ঢুকেছিল হাতিটি। বন কর্মীদের দাবি, হাতিটির শুঁড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 


জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রেঞ্জের ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী জানিয়েছেন, গত বছর আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় পূর্ণবয়স্ক হাতির। ধূপগুড়ির ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি? মৃত গজরাজের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলবে তার উত্তর। জমির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


সম্প্রতি সন্ধ্যা নামতেই গুরুমারা অভয়ারণ্যের মূর্তির রাস্তায় পর্যটকদের গাড়ি আটকায় দল ছুট হাতি। ফের হাতির সাথে সেল্ফি ও ছবি তুলতে গাড়ি নিয়ে হাতির কাছে ছুটে গেল উৎসাহিত পর্যটক। চাঞ্চল্য ছড়াল মূর্তি এলাকায়। দীর্ঘ গাড়ির লাইন গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও খুনিয়া জঙ্গলের মাঝ দিয়ে যাওয়া রাজ্য সড়কে। 


মাসের প্রথম রবিবার, তাই ছুটি কাটাতে অনেকেই এসেছিলেন ডুয়ার্সে। আর সকালে বৃষ্টির পর রৌদ্র উজ্জ্বল আবহাওয়ায় প্রকৃতি যেন আরও সুন্দর হয়ে উঠে। ঠিক সেই সময় আবারও জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসল হাতি। আর যার ফলে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে পড়ল প্রচুর যানবাহন। যে কারণে সবাই ডুয়ার্সে আসেন সেই নদী, জঙ্গল, পাহাড় দেখতে আর তার সঙ্গে উপরি পাওনা হাতির দেখা পাওয়া।


কিছুদিন আগেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চা বাগানে ঢুকেছিল তিনটি হাতি। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চা বাগানে। বন্ধ বাগানের স্বাভাবিক কাজ কর্ম।  ডুয়ার্সের ডায়না জঙ্গল থেকে তিনটি হাতি রেতি জঙ্গলে যাওয়ার পথে কাঠালগুরি চাবাগানে ঢুকে পরে। সুর্যের আলো ফুটে ওঠায় হাতির দল চা বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় ও তাঁর দল এবং ঘটনা স্থলে পৌছেছে বানারহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। হাতির দলটির উপর চালানো হচ্ছে নজর দারি। সন্ধ্যার পর জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বনাধিকারিকরা।