রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের বাইক দুর্ঘটনা। এবার ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। গতকাল দুপুর তিনটে নাগাদ ধুপগুরির জলঢাকা এলাকায় বাইক দুর্ঘটনার কবলে পরে দুই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নিয়ে আসা হয় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে। জখম যুবক আবু তালেবের থুনতিতে সেলাই চলছিল। সেই সময় হঠাৎই লোডশেডিং হয়ে জায় গোটা হাসপাতাল। কর্তব্যরত ধুপগুড়ি হাসপাতালের কর্মী নিশি চাকী তাঁর নিজের পকেট থেকে মোবাইল বের করে রোগীর বন্ধুকে ধরিয়ে দিয়ে তিনি সেলাই এর কাজ চালিয়ে যান। 


গতকাল গভীর রাতে মা উড়ালপুলে চিংড়িঘাটা র‍্যাম্পে দুর্ঘটনার খবর এসেছিল। সেনা স্টিকার সাঁটা বাইক উল্টে আহত চালক। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল। রাত ১টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, রেসকোর্সের দিক থেকে এজেসি বোস উড়ালপুল ধরে মা উড়ালপুলে ওঠেন বাইক চালক।


গতি বেশি থাকায় উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে বাইক উল্টে যায় প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। গুরুতর জখম বাইক আরোহীকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। রাত ১০টার পর মা উড়ালপুলে বাইক নিয়ে ওঠা নিষেধ।  দু’ দিকেই থাকে পুলিশের ব্যারিকেড। নিরাপত্তার কড়াকড়ি সত্ত্বেও মা উড়ালপুলে কীভাবে  বাইক নিয়ে উঠলেন চালক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 


গত সেপ্টেম্বরে এই ধরনেরই এক বাইক দুর্ঘটনা ঘটে কলকাতার সম্প্রীতি উড়ালপুলে। বন্ধুর বাইক থেকে ছিটকে সম্প্রীতি উড়ালপুলের নীচে পড়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। মৃতের নাম অনিমেশ সিংহ, বয়স ১৭ বছর। রাত ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার চন্দননগরে। আহত সহযাত্রীর সঙ্গে কথা বলে, পুলিশ জানায়, তাদের বাড়ি বেহালার জেমস লং সরণিতে। অনিমেষের মামাবাড়ি মহেশতলার ডাকঘর এলাকায়। জন্মদিনে পার্টি করার পরিকল্পনা করে মামাবাড়ি যাচ্ছিল বন্ধুর বাইকে করে। সম্প্রীতি উড়ালপুল দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে বাইকিট। ব্রিজ থেকে ঝুলে কোনওমতে নিজেকে রক্ষা করে বাইক চালক বন্ধু। কিন্তু পিছনে বসা অনিমেষ ছিটকে পড়ে যান নীচে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবকের মাথায় হেলমেট ছিল না, এছাড়াও সে মত্ত অবস্থায় ছিল।