দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির দরকার নেই বলেই মনে করেন দলে কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি অনে করেন আইপিএল খেলার সুবাদে প্রত্যেকেই ক্রিকেটের মধ্যেই ছিল। ফলে কোনও সমস্যা হবে না ছেলেদের। এক সাক্ষাৎকারে বিরাটদের হেডস্যার বলেন, 'ছেলেরা শেষ ২ মাস ধরে ক্রিকেট খেলছে। আইপিএলে এখানেই খেলেছে। আমার মনে হয় না ওঁদের আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির দরকার। তার থেকে বেশি ওদের একসঙ্গে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওঁরা সবাই মিলে থাকলে একটা একতা তৈরি হবে ফের দলে। ছন্দে আসবে ওঁরা। এটাই দরকার এখন।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা কয়েকটা বিষয়ের উপর মূলত নজর দিতে চাই। কীভাবে আমাদের টিম কম্বিনেশন সাজাব তা দেখে নিতে চাই। এছাড়াও এখানে শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর। কখন শিশির পড়ে, তাঁর উপর নির্ভর করে টস জিতে আমাদের ব্যাটিং, বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'


আগামী ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তার আগে যদিও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে টিম বিরাটরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। দল হিসাবে একটা ছন্দ তৈরি করতে চাই, টস জিতে বললেন বিরাট। ইংল্যান্ডের ২ ওপেনারকেই ফেরান মহম্মদ শামি। এদিন অইন মর্গ্যান খেলেননি। তাঁর বদলে ইংল্যান্ডের নেতৃত্বের ব্যাটন ছিল বাটলারের কাঁধে। যদিও ব্যাট হাতে রান পাননি বাটলার। তিনি ১৮ রান করে আউট হন। ডেভিড মালান ও লিয়াম লিভিংস্টোনও বেশি রান করতে পারেননি। তবে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলি। প্রথম জন ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলি ছিলেন আরও বিধ্বংসী মেজাজে। তিনি লোয়ার অর্ডারে ক্যামিও ইনিংস খেলেন। মাত্র ২০ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো পেল্লাই ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড বোর্ডেও বড় রান তুলে নেয়। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করে তারা।


রান তাড়া করতে নেমে পাক্কা এক ওভার বাকি থাকতে মাত্র তিন উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ভারত। ব্যাট হাতে দলের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিলেন রাহুল ও ঈশান। রাহুল মাত্র ২৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। ৪৬ বলে ৭০ রান করে ইংরেজ বোলিংকে ধ্বংস করেন ঈশানও। শেষ দিকে ১৪ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত রইলেন পন্থ।