রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Corona Case)। জেলায় আক্রান্তের সংখা দাঁড়িয়েছে ২৫০ এর কাছাকাছি। মৃতের সংখা ১১। এখনও শহরে অনেকেই কোভিড বিধি (Covid19 Restrictions) মানছেন না। করোনা মোকাবিলায় আজ থেকে এলাকাভিত্তিক দোকান, বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল জলপাইগুড়ি পুরসভা (Jalpaiguri Municipality)। আজ বন্ধ রয়েছে দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, ইন্দিরা কলোনি, বিডিও অফিস এলাকা, রায়কত পাড়া , হাসপাতাল পাড়া ও বেগুনটারির সমস্ত ব্যবসা বন্ধ।


প্রশাসনের (Administration) তরফে সতর্কতামূলক প্রচার চললেও, ফিরছে না হুঁশ। জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পুর প্রশাসন, ব্যবসায়ী সংগঠন ও টোটো চালকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মহকুমা শাসক। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই দেখা যায় প্রশাসনিক তত্পরতা। জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করেছে পুরসভা।


একদিকে যখন প্রশাসনিক সচেতনতার ছবি, তখন আরেক দিকে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে চরম উদাসীনতা। এই পরিস্থিতিতে ২০ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৭ দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বন্ধ রাখা হবে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন বাজার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। যা আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা। আজ দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, ইন্দিরা কলোনি, বিডিও অফিস এলাকা, রায়কত পাড়া, হাসপাতাল পাড়া ও বেগুনটারি এলাকায় দোকান, বাজার বন্ধ।


২১ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে স্টেশন বাজার, বাবু পাড়া, পোস্ট অফিস মোড়, তেলি পাড়া ও ২ নম্বর ঘুমটির বাজার, দোকান।


২২ জানুয়ারি বাজার, দোকান বন্ধ থাকবে পাণ্ডা পাড়া, বৌবাজার ও ৩ নম্বর ঘুমটি এলাকায়।


২৪ জানুয়ারি বয়েলখানা বাজার, উকিল পাড়া, শান্তি পাড়ায় বাজার, দোকান বন্ধ থাকবে।


২৭ জানুয়ারি মাসকলাইবাড়ি থেকে শিরিষতলা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত দোকান, বাজার।


২৯ জানুয়ারি দোকান, বাজার বন্ধ থাকবে বিবেকানন্দ পাড়া, টিকিয়া পাড়া, পুলিশ লাইন ও গাঁধী মোড় এলাকায়।


৩১ জানুয়ারি ৩ নম্বর ঘুমটি, কদমতলা, উকিল পাড়া, থানা মোড় পর্যন্ত সমস্ত দোকান, বাজার বন্ধ থাকবে।