রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: নাগরাকাটায় বিজেপির ভাঙ্গন শুরু হল। দলীয় কোন্দলের জেরে সোমবার নাগরাকাটায় সাংবাদিক বৈঠক করে দলকে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে দল ছাড়লেন বিজেপির যুব মোর্চার লড়াকু নেতা জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রমেশ শর্মা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও পরিবারিক সমস্যার কথা জানিয়ে দল ছাড়লেন। যদিও এদিন তিনি একদিকে দলীয় কোন্দলের কথাও বলেছেন। এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। তিন বছর হয়ে গেল সাংসদ কি উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সেটা দেখতেই পাচ্ছি সেই কারনেই এই সিদ্ধান্ত। বিজেপি সুত্রেই জানা গিয়েছে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি জেলা নেতাদের সাথে স্থানীয় নেতাদের দুরত্ব বাড়ছিল। অনেক নেতারাও বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা তারই ফলস্বরূপ এদিন পদত্যাগ।
এদিকে গতকালই উত্তরবঙ্গে উত্তর দিনাজপুর থেকে বিজেপির ভাঙনের খবর এসেছিল। উত্তর দিনাজপুরে বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা দেখা গিয়েছিল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত রকম দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার বার্তা দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে বিধায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে মতভেদের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। রায়গঞ্জের বিধায়ক তোপ দেগেছেন দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও।
নিজের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বললেননি বিধায়ক। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কী হবে, তা ভবিষ্যতই বলবে। তিনি বলেছেন, জেলা কমিটি গঠন আমাকে না জানিয়েই করা হয়েছে। বাসুদেববাবু সংগঠনের সবাইকে নিয়ে চলছেন না। তিনি মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়ে চলছেন।
বিজেপি জেলা সভাপতি এবং রায়গঞ্জের সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। গতকালই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক বেসুরো হওয়ায় গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে শাসকদল।